বাধ্য হয়ে রমজান মাসে কর্মসূচি দিয়েছি —মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাধ্য হয়ে বিএনপি রমজান মাসে কর্মসূচি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারের দুর্নীতি এবং ১০ দফা দাবিতে মহানগর থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অবস্থান গণসংযোগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল ইস্কাটন গার্ডেন লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার কথা না। কিন্তু আজ দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, আমরা বাধ্য হয়েছি রমজান মাসেও কর্মসূচির ঘোষণা দিতে। সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আন্দোলন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের যে আন্দোলন তা চলমান রাখতে চাই আমরা। সেজন্য কর্মসূচি দিয়েছি।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এপ্রিল সব মহানগর জেলায় বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, এপ্রিল সব মহানগরের থানা জেলা-উপজেলার থানা সদরে বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ দফার প্রচারপত্র, রাষ্ট্র মেরামতের প্রচারপত্র এবং দুর্নীতির প্রচারপত্র বিলি, মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি।

এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি বিভাগ অনুযায়ী রংপুরে হবে এপ্রিল, ১০ এপ্রিল রাজশাহী সিলেটে, ১১ এপ্রিল খুলনা কুমিল্লায়, ১২ এপ্রিল ঢাকা বরিশালে এবং ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ফরিদপুর বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে।

২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সব মহানগর-জেলা-উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশা করব, এসব কর্মসূচিতে আপামর জনসাধারণ অংশ নেবেন। তাদের যে অধিকার, ভোট দেয়ার কথা বলার অধিকার, সেই অধিকারগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

এতিম-উলামা-মাশায়েখদের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী এবং জাতীয়তাবাদী উলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক উপস্থিত ছিলেন।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন