মাছ, মাংস ও সবজির চড়া দাম

লেবুর হালি ১০০ টাকা শসা ৮০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিবারের মতো এবারো মাছ, মাংস, লেবু, শসা, বেগুনসহ রমজানে চাহিদা বাড়ে, এমন সবজি ও পণ্যদ্রব্যের দাম অনেক বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় মাছ, মাংসের দাম। রমজানে প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম কিছুক্ষেত্রে বেড়েছে কয়েক গুণ। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে দামের ঊর্ধ্বগতি।

যেখানে অন্য সময় এক হালি লেবু ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হতো, সেখানে বড় একটি লেবু ২৫ টাকা বা এক হালি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; ছোট লেবু ৪০-৭০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, বেগুন প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ৪০০ টাকায় কিনে কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী ভালো মানের বেগুন কিনতে পারেননি। তারা ৩৫০ টাকা দরে পাল্লা কিনেছেন। তারাই ১০০ টাকার থেকে ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি করছেন।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো ৫০-৬০ টাকা, লম্বা বেগুনের দাম ১০০, গোল বেগুন ৮০, পটোল ৮০, বরবটি ৮০-১০০, চিচিঙ্গা ৬০-৮০, উস্তা ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বৃহস্পতিবারও ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল রোজার প্রথম তিন খুচরা বিক্রি হয় ১৬০ টাকা কেজি।

মগবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‌‌৫০ টাকা করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) শসা কিনলাম। আজ (শুক্রবার) সেই শসা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার বেগুন ১০০ টাকা। একটি লেবুর দাম চায় ৩০, দামাদামি করে ২৫ টাকা করে কিনলাম এক হালি ১০০ টাকায়। আগে লেবু ডজন হিসেবে কিনতাম, এরপর কিছুদিন ধরে হালি হিসেবে কিনছি। বেগুনের কেজি ১০০ টাকা চায়, তাই আজ কিনিনি।’

প্রতি কেজি ছোলা ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাষকলাই ১৫০ টাকা, মুগ ১১০, অ্যাংকর ৬০-৬৫ ও মসুর ডাল ১২০-১৩০ টাকা। গত সপ্তাহে খেসারি ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ৮৫ টাকা। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগডালের কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল চাষের রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৬০ টাকায়। আর তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ২২০-২৪০ টাকায়। এসব মাছের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশী পদের (উন্মুক্ত জলাশয়) মাছের দাম। এখন মলা ৫০০ টাকা, শোল ৬০০-৮০০, শিং ৫৫০-৬০০, কই ৫০০-৬০০, বোয়াল ৬০০-৭৫০, ছোট আকারের টেংরা ৫০০, আর বড় আকারের ৬০০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে চিংড়ি ৬০০-৮০০ ও গলদা ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাছ বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘‌মাংসের দাম বাড়ায় মাছের বাজারে মানুষ বাড়ছে। এজন্য মাছের দাম বেড়েছে। শেষ এক সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ টাকার পর্যন্ত কমেছে। পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণের পরেই বাজারে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে, যা বৃহস্পতিবারও ২৭০-২৮০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। আর খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন