সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের মোট ১১৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন নিয়ে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেন তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কোম্পানিটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের মোট ৩৭ লাখ ৪২ লাখ ৮৪১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান রয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। 

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৭ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ টাকা ৬৩ পয়সায়। 

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯ পয়সা। 

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকরা বাদে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। এর আগে ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সি পার্ল বিচ রিসোর্টের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন