দ. কোরিয়ায় জাপানিজ সি-ফুড রফতানি ১২ বছরের সর্বোচ্চ

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিদায়ী বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার জাপানিজ সামুদ্রিক খাদ্য (সি-ফুড) আমদানি ১২ বছরের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। ব্যয়বহুল জীবন্ত মাছ আমদানি বৃদ্ধি এতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। সরকারি উপাত্তের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ এজেন্সি।

দক্ষিণ কোরিয়ার শুল্ক বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত বছর প্রতিবেশী দেশ জাপান থেকে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ডলার মূল্যের মাছ আমদানি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা ২০২১ সালের তুলনায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি এবং ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ জাপানিজ সি-ফুড আমদানি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্য বলছে, ২০১০ সালে খাতটিতে কোরিয়ার আমদানি ব্যয় ছিল প্রায় ২১ কোটি ডলার। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ১০ লাখ ডলারে। এর এক বছর পর কিছুটা বাড়ে এবং ২০১৯ সালে আমদানি ব্যয় ১২ কোটি ডলারে পৌঁছায়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালে এর পরিমাণ কমলেও ২০২১ সালে আবার বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ডলারে। এদিকে গত বছরের উল্লেখযোগ্য ব্যয় বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ব্যয়বহুল জীবন্ত মাছ আমদানি। শুধু জীবন্ত মাছ আমদানিতেই ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে দেশটির, যা সি-ফুড আমদানি খরচের প্রায় ৪৮ শতাংশ।

২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া জাপানিজ সি-ফুড আমদানি করেছে ৩২ হাজার ৫৮৮ টন, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ২০১০ সালের তুলনায় এর পরিমাণ এখনো কম, প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি।

খাতসংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জাপানিজ সি-ফুড আমদানি শিগগিরই বাড়তে পারে। জাপানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি টোকিওতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে ফুকুশিমা থেকে সি-ফুড আমদানির ওপর দ. কোরিয়ার আমদানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘জাপানিজ সি-ফুড যদি জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া কখনই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না।’

ইয়োনহাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় শীর্ষ সি-ফুড রফতানিকারক দেশ ছিল রাশিয়া। এ সময়ে ১৪২ কোটি ডলার মূল্যের সি-ফুড রফতানি করেছে দেশটি। ১০৩ কোটি ডলার মূল্যের রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে চীন। এর পরে ভিয়েতনাম ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, নরওয়ে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার ও ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার রফতানি করে পরের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন