গবেষণার তথ্য

সামাজিক দক্ষতায় পিছিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মানুষের কল্যাণে জরুরি আর্টিফিশিয়াল সোশ্যাল ইন্টেলিজেন্স ছবি: সিআইবি

ব্যবহারকারীর কমান্ড বা নির্দেশনার ভিত্তিতে অ্যাপলের সিরি বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিটিংয়ের সময় নির্ধারণ করে দিতে পারে। তবে সামাজিক দক্ষতা না থাকায় প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব অনুধাবনে এদের সক্ষমতা নেই। 

চীনের গবেষকদের বরাতে গ্যাজেটসনাউয়ের খবরে বলা হয়, আর্টিফিশিয়াল সোশ্যাল ইন্টেলিজেন্স (এএসআই) বা কৃত্রিম সামাজিক বুদ্ধিমত্তাগত তথ্যের অভাবে এটির অগ্রগতি থেমে আছে। 

বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (বিআইজিএআই) অন্যতম গবেষক লাইফেং ফ্যান বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের সমাজ ও দৈনন্দিন জীবনকে বদলে দিয়েছে।’ এআইয়ের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‌আমরা মনে করি এএসআই হচ্ছে পরবর্তী বড় ক্ষেত্র।’

সিএএআই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দলটি ব্যাখ্যা করেছে, এএসআই অনেক সাইলড সাবফিল্ড (যা সামাজিক যোগাযোগ ও সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করে) নিয়ে গঠিত । 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানুষের সামাজিক বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি বর্তমান সমস্যা ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশের মধ্যে ব্যবধান চিহ্নিত করা জরুরি। এজন্য কগনিটিভ সায়েন্স (একটি বহুমুখী ক্ষেত্র যা মানুষের মনের প্রকৃতি ও এটি কীভাবে তথ্য প্রক্রিয়া করে তা বোঝার চেষ্টা করে) এবং গণনামূলক মডেলিং ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। এর মাধ্যমে এএসআইকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করা যাবে। 

ফ্যান আরো বলেন, ‘আমাদের কায়িক শ্রমের কাজগুলো বোঝার ক্ষেত্রে এএসআই অনেকটাই স্বতন্ত্র ও চ্যালেঞ্জিং। তাছাড়া এটি অত্যন্ত বিষয়বস্তুনির্ভর।’ 

তিনি মনে করেন, এর সুপ্ত সামাজিক সংকেতগুলো বোঝা ও ব্যাখ্যা করার সক্ষমতা প্রয়োজন, যেমন চোখ-নাড়ানো বা হাই তোলা ইত্যাদি। এছাড়া অন্যদের মানসিক অবস্থা বোঝা ও কাজে সহযোগিতা করার বিষয়টি নিয়েও তিনি কথা বলেন। পাশাপাশি কৃত্রিম সামাজিক বুদ্ধিমত্তাকে সে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রতি জোর দেন। 

লাইফেংয়ের মতে, এএসআইয়ের দক্ষতা বৃদ্ধির সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আরো সামগ্রিক বিষয়বস্তুর সংযোজন। মানুষ কীভাবে একে অন্যের ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে তা অনুকরণ করা। তাছাড়া এএসআই মডেলগুলোয় মানুষ যেভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে তা সংযোজিত করা যায় সে সম্পর্কে বিবেচনা করা দরকার। এছাড়া এএসআইয়ের অগ্রগতির ধারাবাহিকতাকে ত্বরান্বিত করতে মাল্টিটাস্ক লার্নিং, মেটা-লার্নিং ইত্যাদি ব্যবহারের সুপারিশও করেন তিনি। 

লাইফেং ফ্যান বলেন, ‘‌আমাদের নতুন সমস্যা সংজ্ঞায়িত করতে হবে, নতুন পরিবেশ ও ডাটাসেট তৈরি করতে হবে, নতুন মূল্যায়ন প্রোটোকল সেট আপ করতে হবে এবং নতুন কম্পিউটেশনাল মডেল তৈরি করতে হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে উচ্চস্তরের এএসআই দিয়ে সজ্জিত ও এর সাহায্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করা।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন