৩৮১ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণে ১৬ স্পিডগান

দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়কে গতির ঝড়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ২৫ জুন খুলে যায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের নতুন দ্বার। এ অঞ্চলের মহাসড়কে যান চলাচল বেড়ে যায় তিন থেকে পাঁচ গুণ। মহাসড়কে ব্যস্ততা বাড়লেও, বাড়েনি হাইওয়ে পুলিশের পর্যাপ্ত জনবলসহ অন্যান্য সুবিধা। ফলে স্বল্প সক্ষমতা দিয়েই বাড়তি কর্মচঞ্চলতা সামলাতে হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশকে।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিয়নে থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্প রয়েছে আটটি, যার মাধ্যমে সাতটি মহাসড়কের ৩৮১ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব মহাসড়কের গতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাত্র ১৬টি স্পিডগান। নেই পর্যাপ্ত জনবলও। তাই একাধিক চেকপোস্ট পরিচালনা করাও তাদের জন্য কঠিন।

হাইওয়ে পুলিশের দাবি, মামলা দিয়েও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমানো যাচ্ছে না। গতি কমাতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

ফরিদপুরে অবস্থিত মাদারীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের দায়িত্বরত পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ রিজিয়নের পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরসহ আটটি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে আগে থেকে মোট জনবল রয়েছে ২৬৫ জন। যার মধ্যে পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ৬০ জন, আর ১৫ জন রয়েছেন প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে। পুলিশ   স্টেশনগুলোর মধ্যে পাংশা হাইওয়ে থানায় সর্বনিম্ন ২১ জন এবং ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় সর্বোচ্চ ৩৪ জন কর্মরত আছেন। বেশির ভাগ থানায়ই একজন ওসি, একজন সার্জেন্ট ও একজন এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।

মাদারীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে যান চলাচলে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা থাকলেও অনেক চালকই তা মানছেন না। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত এ রিজিয়নে চেকপোস্ট বসিয়ে ৮ হাজার ৯২টি মামলা করা হয়। যার মধ্যে ৩ হাজার ৪৯২টিই অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোবিষয়ক।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন