রোজায় ৯ কার্যদিবস খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোজার সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯ কার্যদিবস খোলা থাকবে। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। গত ডিসেম্বর মাসে প্রণীত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায়ও এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

বার্ষিক ছুটির তালিকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোজার শুরু থেকেই ছুটি ঘোষণার কথা থাকলেও প্রাথমিক স্তরের ছুটির তালিকায় ১৫ রোজা পর্যন্ত খোলা থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে। রোজার ছুটির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে দুই ধরনের সিদ্ধান্ত থাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রাথমিকের ছুটি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনও সরকারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেছে।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। মাধ্যমিক স্তরের ছুটি এবং রোজায় যানজটের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে রোজার শুরু থেকেই প্রাথমিক স্তরে ছুটি ঘোষণার দাবি করেন কমিটির একজন সদস্য। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোজায় স্কুল খোলা রাখার কারণ ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, গত দুই বছরে করোনার কারণে বেশ শিখন ঘাটতি হয়েছে। এসব শিখন ঘাটতি পূরণ করার জন্যই তারা রোজার সময় দুই সপ্তাহ (৯ কার্যদিবস) স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরাও মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে যে ঘাটতি হয়েছে তা শনাক্ত করে পূরণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।  

জানা গেছে, বৈঠকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ও প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টার (পিটিআই)সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রিত করে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ নামে আলাদা অধিদপ্তর স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার বিষয়টি সংসদীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়। পরে কমিটি তাতে সায় দিয়ে সুপারিশ করেছে। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বৈঠকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) নিয়ে আইন করার জন্য সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সরকারি 'প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০২২'   পরবর্তী বৈঠকে অধিকতর পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া কমিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে নতুন জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ, নিয়মিত চাঁদা প্রদান এবং তহবিলে প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, আলী আজম, ফেরদৌসী ইসলাম ও মাহমুদ হাসান অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন