বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

তত্ত্বাবধায়কের ভূত ভুলে যেতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়কের ভূত ভুলে যেতে হবে। আজ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলে এসেছিএদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না।

আজ বুধবার বিকালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা  সভায় কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেনঅবৈধ ব্যক্তির হাতে গড়ে ওঠা অবৈধ দল হচ্ছে বিএনপি। তারা এদেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। এখন সরকার পতনে তাদের আন্দোলন আটকে গেছে চোরাবালিতে। আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিৎ। তিনি অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বড় বড় কথা ছাড়ুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত নামিয়ে ফেলুন। ওই ভূত আর বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন এসে গেছে নিরব পদযাত্রায়। পদযাত্রা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে মানববন্ধনে। এখন বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে। সামনেও যায় না। পিছনেও যায় না। ডানেও যায় না। বামেও যায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটে, প্রাক্তন ছাত্রলীগ হিসেবে আমাদের লজ্জা লাগে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রয়োজন নেই। কোথাও কোথাও অনেকে লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে।  এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।  সততা মেধার শক্তি বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা, শেখ হাসিনার শিক্ষা।  সততা মেধার সংমিশ্রণে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা স্মার্ট কর্মী গড়ে তুলতে চাই।

যারা অপকর্ম করে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের নামে যারা অপকর্ম করে, তাদের বহিষ্কার করা হয়। কয়দিন পরে আবার বহিষ্কার আদেশ উঠিয়ে নেওয়া হয়। এদের শাস্তি স্থায়ীভাবে দিতে হবে, সাময়িক নয়। সংগঠনে ভালো ছেলে মেয়েরা থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অ্যাট্রাক্ট হবে।

বর্তমান আংশিক কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগের কমিটির কাছে আমাদের অনেক আশা। প্রধানমন্ত্রী অনেক যাচাই বাছাই করে তাদের নেতা বানিয়েছেন। তোমরা আমাদের হতাশ করো না। আমরা সবাই মনে করছি, আশার প্রদীপ আবার জ্বলে উঠবে।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শাওন সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন