বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: হাউজ অব ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন।

পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে হাউজ অব ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটিএন সেন্টারে ওই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এবারের বিশ্ব পানি দিবসের থিম ছিল ‘তরান্বিত পরিবর্তন’।

এ বছরের চিত্রাঙ্কন ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল যথাক্রমে ‘পানি বাঁচান’ এবং ‘পানির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’। চিত্রাঙ্কন ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বয়সসীমা ছিল যথাক্রমে ৮-১৬ বছর এবং ১৫-৩০ বছর। প্রতিযোগিতায় হাউজ অব ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন মোট ৩৬৮টি চিত্র এবং ১৫০টি আলোকচিত্র জমা নেয়। এর থেকে সেরা ২০টি চিত্র ও আলোকচিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট ফর ওয়াটারের (বিওয়াইডব্লুপিডি) পার্টনারশিপ ও স্পন্সর বিভাগের পরিচালক এবং এশিয়া প্যাসিফিক এট প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের রিজিওনাল ওয়াস স্পেশালিস্ট এসএম তারিকুজ্জামান, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার- ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর ইয়াসিন আরাফাত, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আরাফাত। এছাড়া এসটেক্স ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অুনষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মুরসালিন রহমান খন্দকার, সহ-ব্যবস্থাপক রায়হান আহমেদ আশরাফি ও কার্যনির্বাহী গবেষণা পরিচালক আরিফুল ইসলাম নাহিদ। পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডাচ ফান্ড ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এডভাইজর অ্যান্ড টিম লিড মুস্তাফিজুর রহমান।

হাউজ অব ভলান্টিয়ার্সের পক্ষ থেকে সকলকে গ্লোবাল রিসাইক্লিং ডে-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে হৃদিয়া আফরোজ রাকা এবং মিশকাতুল মাশিয়াতের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শুরুতেই বিশ্ব পানি দিবসকে ঘিরে ২০২১ সাল থেকে হাউজ অব ভলান্টিয়ার্সের গৃহীত কর্মসূচিগুলো নিয়ে একটি রিক্যাপ ভিডিও প্রদর্শিত হয়। পরে বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের রিজিওনাল ওয়াস স্পেশালিস্ট এসএম তারিকুজ্জামান। তিনি পানি ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ড. ফেরদৌস সারওয়ার। তিনি হাউস অব ভলান্টিয়ারসকে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে ৩৬৮টি থেকে বেছে নেওয়া হয় সেরা ২০টি আঁকা চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। পরে প্রথম বিজয়ী আবদুল্লাহ আল জিহাদ, দ্বিতীয় ফাতিমা আহমেদ এবং তৃতীয় হওয়া মাইশা আহমেদ, অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত মির্জা আজান আর জাইফা তাসনিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথি এসএম তারিকুজ্জামান, ড. ফেরদৌস সারওয়ার ও হাউজ অব ভলান্টিয়ার্স ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাজেদুল পাভেল হক। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, নায়কা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম। পরে সেরা ২০টি আলোকচিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। সাজেদুল পাভেল হক প্রথম ৩জন প্রতিযোগী এবং অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা করেন। প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন যথাক্রমে মুহাম্মদ আমদাদ হোসেন, কিংশুক পার্থ এবং সামিউল আনিম এবং অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ড পান মুহাম্মদ আমদাদ হোসেন। বিচারক হাসান চন্দন, সাজেদুল হক পাভেল, এসএম তারিকুজ্জামান ও নায়কা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। 

অনুষ্ঠানটিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল আইটিএন-বুয়েট,  ইউনিসেফ এবং বিওয়াইপিডব্লিউ, টেকনোলজি পার্টনার মিয়াকি, টেকনিকাল পার্টনার এস্টেক্স এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বণিক বার্তা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম।  

উল্লেখ্য, শিগগিরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিজয়ী চিত্র ও আলোকচিত্র নিয়ে একটি অন-সাইট ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন