নারী ফুটবল বিশ্বকাপ প্রাইজমানি বাড়ল ৩০০ শতাংশ

ক্রীড়া ডেস্ক

চলতি বছর জুলাই-আগস্টে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা উইমেনস ওয়ার্ল্ড কাপ। এ আসরের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। 

এবারের আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩২টি দেশ। বিশ্বকাপের মোট বাজেট ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মধ্যে প্রাইজমানি, দলগুলোর প্রস্তুতি ও খেলোয়াড়দের ক্লাবগুলোর পেমেন্ট। ২০১৫ সালের আসরে ১০ দল ও ২০১৯ সালের আসরে ২৪ দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ওই আসরগুলোর চেয়ে এবার প্রাইজমানি অনেক বাড়ানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডায় ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েই জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে কেবল খেলোয়াড়দের প্রাইজমানি হিসেবেই থাকবে ১১ কোটি ডলার। 

ফিফা আরো জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের স্পন্সর হিসেবে সৌদি আরব ট্যুরিজম অথরিটিকে রাখা হচ্ছে না। এ স্পন্সর চুক্তি নিয়ে খেলোয়াড় ও আয়োজক দেশ দুটিতে অস্বস্তি থাকায় পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ফিফা। সরকার ও বিশ্বকাপ আয়োজকরা প্রশ্ন তুলেছে, সৌদি আরবের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে স্পন্সর থাকা কতটা যৌক্তিক, বিশেষ করে যে দেশে নারী অধিকারের রেকর্ড খুবই নাজুক। 

এদিকে, বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের ১৫০ জন খেলোয়াড়ের সই করা একটি চিঠি ফিফাকে পাঠিয়ে খেলোয়াড়দের বৈশ্বিক ইউনিয়ন (ফিফপ্রো) আহ্বান জানিয়েছে, যেন নারী ও পুরুষ ফুটবল বিশ্বকাপে সমান প্রাইজমানি দেয়া হয়। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালের পুরুষ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ থেকেই সমান প্রাইজমানি প্রদানের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। যদিও এটি করা কঠিনই হবে, কেননা কাতার বিশ্বকাপের ৩২ দল ভাগাভাগি করেছে ৪৪ কোটি ডলার!

কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আর্জেন্টিনা একাই পেয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার; টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ৪৪ কোটি ডলার। সেই তুলনায় ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিল মাত্র ৪০ লাখ ডলার এবং টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ছিল ৩ কোটি ডলার। 

সমান প্রাইজমানি দিতে হলে আয়টাও সমান বা কাছাকাছি হতে হবে। কিন্তু সেটি করা কতটা সহজ? এখানে স্পন্সর একটা বড় ফ্যাক্টর। ফিফা প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সম্প্রচার কোম্পানিগুলোর প্রতি, বিশেষ করে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত কিছু সম্প্রচার কোম্পানির দিকে তিনি আঙুল তুলেছেন। তার অভিযোগ ওইসব সম্প্রচার কোম্পানি পুরুষ বিশ্বকাপের চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ কম অর্থ দিতে চায় মেয়েদের বিশ্বকাপের জন্য। এপি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন