সুজুমে দিয়ে মাকোতোর নতুন রেকর্ড

ফিচার ডেস্ক

সুজুমের দৃশ্য ছবি: আইএমডিবি

এনিমের দুনিয়ায় মাকোতো শিনকাই অন্যতম পরিচিত নাম। মিয়াজাকির পর এতটা জনপ্রিয় কেউ হননি। মাকোতোর কাজে রয়েছে তার নিজস্বতা। এ কারণেই তিনি আলাদা হয়ে ওঠেন। মাকোতো নির্মিত সাম্প্রতিক এনিমে সুজুমে। এনিমেটি মুক্তি পেতে না পেতেই রেকর্ড গড়তে শুরু করেছে। এর জনপ্রিয়তাও নির্দেশ করছে সুজুমে। কেননা জাপানের বাইরেও এনিমেটির প্রায় ২০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। সুজুমে প্রদর্শিত হচ্ছে ১৯৯টি এলাকার স্ক্রিনে এবং প্রতিটি দেশেই প্রথম দিনে সুজুমে আছে তালিকার শীর্ষে। জাপানের বাইরে সিনেমাটি সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি জাপানেও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হয়েছে ব্যবসাসফল। জাপানে এর আয় ১ হাজার ৪১৩ কোটি ইয়েনের বেশি (১ দশমিক শূন্য ৬ কোটি মার্কিন ডলার)।

জাপানে সুজুমে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। জাপানে এনিমেটি মুক্তির প্রথম ৩ দিনে প্রায় ১৩ দশমিক ৩ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আয় করেছে ১৮৮ কোটি ইয়েন। সিনেমাটি শিনকাই নির্মিত ‘‌ইয়োর নেম’, ‘‌ওয়েদারিং উইথ ইউ’-এর তুলনায় যথাক্রমে ৩৮ দশমিক ৭ ও ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। আয়ের ক্ষেত্রে এ হার ছিল যথাক্রমে ৪৭ দশমিক ৪ ও ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। সেদিক থেকে সিনেমাটি শিনকাইয়ের সেরা সিনেমা হওয়ার দিকেই এগিয়ে আছে।

তার অন্যান্য এনিমের মতোই সুজুমে তরুণদের কথা বলে। জাপানের বর্তমান জীবন ও তাদের চিন্তাধারার সঙ্গে এনিমেটির গল্প মিলে যায়। এনিমের মূল আকর্ষণ বা বিশেষত্বের জায়গা হচ্ছে এর অ্যানিমেশন। শিনকাইয়ের এনিমের ক্ষেত্রে এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে এনিমেপ্রেমীদের বক্তব্য, শিনকাইয়ের আগের এনিমেগুলোর চেয়ে এগিয়েই থাকবে সুজুমে। এর মিউজিকের মধ্যেও আছে শিনকাইয়ের নিজস্বতা ও ভিন্নতা। তবে সুজুমে নিয়ে আরো আলোচনা হওয়ার কারণ হচ্ছে এনিমেটির অন্যান্য সম্ভাবনা। কেননা এটি থেকে তৈরি হতে পারে এক ধরনের নতুন সূচনা।

সুজুমে মুক্তির পর থেকে এর প্রতিক্রিয়া পুরোপুরি ইতিবাচক। এখন এনিমের ভক্তরা চাচ্ছেন তাদের দেশেও এটি মুক্তি দেয়া হোক। সে কারণে সুজুমে নিয়ে আরো আলোচনা হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশও সুজুমে নিজের থিয়েটারে দেখানোর চিন্তা করছে। ফলে সুজুমে এখন কেবল জাপানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। অন্যদিকে সুজুমের মাধ্যমে এনিমে হয়ে উঠছে আরো বৈশ্বিক।

সূত্র: এনিমে নিউজ নেটওয়ার্ক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন