খনিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ফক্সওয়াগনের

বণিক বার্তা ডেস্ক

খনিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ফক্সওয়াগন। ব্যাটারি সেলের খরচ কমিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের চাহিদার অর্ধেক পূরণ করা এ পরিকল্পনার লক্ষ‍্য। পাশাপাশি তৃতীয় কোনো ক্রেতার কাছে অবশিষ্ট অংশ বিক্রির কথাও ভাবা হচ্ছে। গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড মেম্বার ইনচার্জ অব টেকনোলজি টমাস শ্মল এ কথা জানিয়েছেন। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বর্তমানে তৃতীয় পক্ষের হাতে রয়েছে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি চায় তাদের ব্যাটারি ইউনিট পাওয়ারকো যেন বৈশ্বিক ব্যাটারি সরবরাহকারী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ইউরোপ ও নর্থ আমেরিকার প্লান্ট থেকেই যেন নিজেদের অর্ধেক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়।

টমাস শ্মল বলেন, ‘‌ফোর্ডের ১২ লাখ গাড়ির জন্য সেল সরবরাহ করার মাধ্যমে পাওয়ারকো তার কাজ শুরু করবে। এ কাঁচামালের সীমাবদ্ধতা হলো খনির ক্ষমতা, সেজন্য আমাদের সরাসরি খনিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’

গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি কানাডার বিভিন্ন খনি কোম্পানির সরবরাহ চুক্তির সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। সেখানেই তারা তাদের প্রথম নর্থ আমেরিকার ব্যাটারি প্লান্ট গড়ে তুলবে। তবে যেসব জায়গা বিবেচনাধীন রয়েছে তা নিয়ে আর বেশি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন শ্মল। এমনকি কখন থেকে সরাসরি খনিতে বিনিয়োগ করা হবে তাও জানাননি। কেননা বাজারটি সম্পর্কে আরো বেশি নিশ্চিত হওয়ার দরকার রয়েছে। 

স্বল্প খরচে ব্যাটারি পাওয়া ফক্সওয়াগন, টেসলা ও স্টেলান্টিসের মতো গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ সেটা পেলেই প্রতিষ্ঠানগুলো সুলভ মূল্যে বিদ্যুচ্চালিত যান তৈরি করতে পারবে। ফক্সওয়াগনের থেকেও ব্যাটারি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী টেসলা। রয়টার্সের বিশ্লেষকরা বলছেন, তার পরও ইভি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে এবং এশিয়ান সরবরাহকারীদের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে।

কিছু কিছু গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সরাসরি খনিতে নিজেদের অংশীদারত্ব থাকার কথা জানিয়েছে, তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উৎপাদনকারীর কাছ থেকে লিথিয়াম, নিকেল ও কোবাল্ট সংগ্রহ করার চুক্তি করছে এবং সেগুলো তাদের ব্যাটারি সরবরাহকারীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বিক্রি ২ হাজার ১২২ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে পাওয়ারকোর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন