টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

সাসটেইনেবল পাবলিক প্রকিউরমেন্ট পলিসি বা টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইটে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির খসড়া প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি দপ্তরে অংশীজনের মতামত চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে সিপিটিইউ।

টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির খসড়াটি চূড়ান্ত করতে গত বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালার আয়োজন করে সিপিটিইউ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সভাপতিত্ব করেন আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। কর্মশালায় সিপিটিইউর মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী খসড়া টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির ওপর মূল উপস্থাপনা পেশ করেন।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিষ্ট আহসান আলী এবং ডাইম্যাপের টাস্ক টিম লিডার ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান খসড়া টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির বিষয়ে বক্তব্য দেন। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা, সিপিটিইউর ডাইম্যাপ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধিরা খসড়া নীতির বিষয়ে মতামত দেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারি ক্রয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিক বিবেচনাসহ আরো কিছু মৌলিক বিষয় যুক্ত করার উদ্দেশে এ টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে সিপিটিইউ এ নীতির খসড়া চূড়ান্ত করবে।

প্রসঙ্গত, বদ্বীপ পরিকল্পনা, রূপকল্প-২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দও। এতে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সরকারি ক্রয়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজির ১২ দশমিক ৭ নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি ক্রয়ে টেকসই পদ্ধতির প্রবর্তন। এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে  টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন