সেমিনারে বক্তারা

পরিবার থেকেই নারীদের অবমূল্যায়ন শুরু হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

পরিবারের মধ্যেই নারীকে অধস্তন করে রাখা হয়। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী যখন সম্পত্তি বন্টন হয় নারীরা তাদের সম্পত্তি বুঝে পেয়েছেন এমন ঘটনা খুব কমই। পরিবার থেকেই নারীদের অবমূল্যায়ন শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে নারীর ভূমি ও সম্পত্তিতে অধিকারের বাস্তবতা: রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এএলআরডির চেয়ারপারসন ও মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার আইনজীবী, জেন্ডার ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ফস্টিনা পেরেরা এবং এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি।

সমাজের অনেক বিষয় পুরুষতান্ত্রিক উল্লেখ করে ড. ফস্টিনা পেরেরা বলেন, ভূমি বা সম্পত্তিতে নারীর অধিকার বিষয়টি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা। এর জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। সামাজিক, আইনি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো এর মধ্যে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

সিডও বাংলাদেশ প্রতিবেদন, নারীর ভূমি ও কৃষির অধিকার: নাগরিক উদ্বেগ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে রওশন জাহান মনি বলেন, সিডও ২০১৬ সালে ২৭টি ইস্যুতে ৫৮টি সুপারিশ করে যার মধ্যে ১৬টি নারীর ভূমি, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির অধিকার বা নারীর সমান অধিকারের সঙ্গে যুক্ত।

এ সময় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি। বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল প্রকার ভূমি আইন, নীতিমালা ও প্রবিধানসমূহ বাতিল করতে হবে।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন কবি ও দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটির পরিচালক নবনিতা চৌধুরী, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লাকি আক্তার এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন