এ শুধু চেরির দিন

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: মাইনিচি

ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল দাও, আমার শিউলি নাও, দুজনে প্রেমে হই ঋণী

মনিরুজ্জামান মনিরের কথা ও শেখ সাদী খানের সুরে ‘ওগো বিদেশিনী’ ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোর। বুঝতে বাকি নেই যে, জাপানি চেরির সৌন্দর্য দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। এখন সেই চেরি ফোটার দিন।

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কিয়োটোর বিস্ময়কর সৌন্দর্য সম্প্রতি উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। দেশটির অন্যতম আকর্ষণ চেরি ফুলের আগমনে শহরটি যেন ঢাকা পড়েছে গোলাপী রঙের অপার মায়ায়।

ছবি: মাইনিচি

কিয়োটো শহরের ফুশিমি এলাকা এলাকায় ফুলে ফুলে ভরে গেছে অধিকাংশ গাছ। ইয়োদো জেলার রাস্তা সংলগ্ন জলপথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফুলে ছাওয়া চেরি গাছ পর্যটকদের এরই মধ্যে হাতছানি দিতে শুরু করছে।

চেরির অপরূপ সৌন্দর্যের এ ফুলের কারণেই দেশটি ভ্রমণপিপাসুদের শীর্ষ গন্তব্য। এ মৌসুমে জাপানগামী ফ্লাইট বুকিংয়ের হারও যায় বেড়ে।

মাইনিচি পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ চেরিগুলো কাওয়াজু-জাকুরা জাতের। আইজু উপদ্বীপের শিজুওকা প্রদেশের কাওয়াজু শহরে এর উৎপত্তি।

ছবি: মাইনিচি

ইয়োদো চেরি ফুল চাষ সমিতি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবছরই ইয়োদো স্টেশন ও এর আশপাশে প্রায় ১০টি করে নতুন চেরি গাছ রোপন করেন। প্রায় দেড় হাজার মিটার জলপথের পাশ ধরে চেরি গাছগুলো শোভা বর্ধণ করছে ইয়োদোর। অঞ্চলটির বাসিন্দারা বর্তমানে মোট ৩৫০টি চেরি ফুলের গাছ নিয়ে গর্ব করেন।

ছবি: মাইনিচি

ইয়োদো পর্যটন সংস্থা বলছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় চলতি বছর এক সপ্তাহ দেরিতে ফুটেছে চেরি। তবে প্রচুর ফুল ফুটেছে এবং রঙ অত্যন্ত উজ্জ্বল। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইয়োশিনোরি ফুজিতা বলেন, ‘আমি আশা করি পর্যটকরা এ অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করবেন। বসন্ত এসে গেছে বলে মনে করবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন