শিল্পীর ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রফিকুন নবীর আঁকা সাপ্তাহিক ফোরামের প্রচ্ছদ, সংগ্রাহক: হামিদা হোসেন ছবি: কাজী সালাহউদ্দীন রাজু

শিল্পীর ক্যানভাসে বারবার দ্রোহ-দর্শন-চেতনার প্রতীক হয়ে এসেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার রাজনৈতিক সফর, আন্দোলন, সংগ্রাম, নেতৃত্বের দিনগুলো আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ম্যুরালসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সময়ের স্বাক্ষর বহন করে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। দেশ গঠন নির্মাণে, তার অবদান উদযাপনে পুরোধা ব্যক্তিত্বকে চিত্রে-শিল্পে কীভাবে ধারণ করা হয়েছে, হচ্ছে হতে পারে সে সম্পর্কে নভেরার সঙ্গে নিজেদের ভাবনা বিনিময় করেছেন চিত্রশিল্পীরা

 স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেছি আমরা তিনজন

 হাশেম খান

 বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তা, আন্দোলন, দর্শন নিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে এঁকেছেন। অনেকে এঁকেছেন বিভিন্ন দিবস বা কর্মসূচি ধরে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে নিয়ে কাজ করেছেন যারা, তাদের মধ্যে প্রথমেই আসে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর নাম, এরপর শিল্পী শাহাবুুদ্দিন আহমেদ আমার কথা বলব। আমরা তিনজন শিল্পীই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধুর ওপর ছবি এঁকেছি বলে আমার ধারণা। অন্যরাও অনেক ভালো কাজ করছেন, তবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেননি বোধ হয়।

শাহাবুদ্দিন আহমেদের ছবিতে এক ধরনের নিজস্বতা রয়েছে। অনেকে আবার আলোকচিত্র থেকেই হুবহু বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছেন। আলোকচিত্রী প্রয়াত রশীদ তালুকদার আমাকে বলেছিলেন, হাশেম ভাই বেশির ভাগ শিল্পী বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকে আমাদের আলোকচিত্রের হুবহু নকল করে। শিল্পীর কাজ তো পুরোপুরি হলো না। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে আলোকচিত্রীর নামটা উল্লেখ করা ভালো।

আমি সারা জীবন জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। ছাত্র অবস্থায় শত শত পোস্টার-ফেস্টুন ডিজাইন করেছি। সে সময় থেকে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র, পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি সংগ্রহ করতে শুরু করি। ১৯৭২-৭৩ সাল; ইত্তেফাকে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করি। তখন বঙ্গবন্ধুর ওপর অনেক ড্রইং প্রচ্ছদ করেছি। আমি ছয় দফা, মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ওপর ছবি এঁকেছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখন চিত্রকর্ম, ম্যুরাল, ভাস্কর্যে অনেক ধরনের কাজ হয়েছে। সব না হলেও বেশির ভাগই মানসম্পন্ন। সোনারগাঁ জাদুঘরে শ্যামল চৌধুরীর ভাস্কর্যটি মানসম্পন্ন। জাতীয় জাদুঘর বা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাজগুলো খুব ভালো। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর করা ৪০০ ফুট লম্বা ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যটি (রিলিফ ওয়ার্ক/কাঠ) করেছেন ভাস্কর মাহমুদুল হাসান (সোহাগ) ম্যুরালটির মূল নকশা আমার। এটি স্থাপনে আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী নিতুন কুন্ডু। আমার পরিকল্পনায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণের ওপর একটি ভাস্কর্য।

 কার্টুনে আমিই প্রথম বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছি

 রফিকুন নবী

 আমাদের দেশের প্রায় সব শিল্পীই কোনো না কোনো সময় বঙ্গবন্ধুর কাজ-চিন্তা-দর্শন নিয়ে ছবি এঁকেছেন। বিশেষ দিবস বা কর্মসূচি ঘিরে আমরা তার মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে শিল্পীদের কাজ করতে দেখি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ্য প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে। মুহূর্তে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেনশেখ আফজাল, আহমেদ শামসুদ্দোহা, অলকেশ ঘোষতারা চমত্কার প্রতিকৃতি আঁকেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করতে চাইলে এখন আলোকচিত্র বা অন্য ছবি দেখে আঁকতে হয়। শিল্পী অবশ্য তার সৃজনশীলতা দিয়ে তা নান্দনিক করে তুলতে পারেন। ষাটের দশকে সাপ্তাহিক ফোরাম পত্রিকার নিয়মিত প্রচ্ছদ কার্টুন করতাম। সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রচ্ছদ করি; তার নেতৃত্ব, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড, জনপ্রিয়তাকে বিষয়বস্তু করে তাকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরি। গর্ব করেই বলব, কার্টুনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমি ছাড়া আর কেউ কাজ করেছেন কিনা দেখিনি। আমি দাবি করি, কার্টুনে আমিই প্রথম বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছি। পশ্চিম পাকিস্তানের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু যেভাবে নৌকাকে সামনে রেখে কাজ করেছেন, কথা বলেছেন, মানুষের মধ্যে চেতনা তৈরি করেছেন বিষয়গুলো নিয়ে প্রচ্ছদ কার্টুন করতাম। তবে স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়েও বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকেছি। অনেক লেখকের বইতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার ইলাস্ট্রেশন রয়েছে। গত দুই-তিন বছরে তার বেশকিছু প্রতিকৃতি করেছি। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর তিনি লন্ডনে যানসে সময়টা এবং তার কারাবাসের ওপর আমার পেইন্টিং রয়েছে। যা আলোকচিত্র থেকে নিয়ে করা নয়, নিজের কল্পনা মিশিয়ে করা। কাজগুলো তাই অন্য রকম। তবে অপর্যাপ্ত। প্রতিকৃতি আঁকাতে আমি স্পেশালাইডজ না। প্রতিকৃতি মানে চেহারা মিলিয়ে দেয়া নয়, বরং আঁকার শৈলী অভিব্যক্তি মেলাতে হয়। আলোকচিত্রে বানোয়াট রঙ পাই। তাই যারা আলোকচিত্র থেকে ছবি আঁকেন তা আলোকচিত্রের মতোই লাগে। তাহলে তো হলো না। তবে আমাদের তরুণ শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক ছবি আঁকছেন। বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণ, কথা বলার ভঙ্গি, তার হাতকে প্রতীক করে অসংখ্য কাজ হয়েছে। কাজগুলো মূলত কমিশননির্ভর হয়। দেশকাল নিয়ে একজন শিল্পী যখন ছবি আঁকবেন, তিনি তো বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আঁকতে পারবেন না।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ কিছুটা কম হয়েছে

বীরেন সোম

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিল্পীদের অনেক কাজ রয়েছে। এর মধ্যে পেইন্টিং, কোলাজ, ভাস্কর্য, চারকোল, পেনসিল স্কেচ, মিশ্র মাধ্যমের কাজ উল্লেখযোগ্য। এখন বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন আর্টক্যাম্প, ওয়ার্কশপ হয়। শুধু তার প্রতিকৃতি নিয়ে অনেক শিল্পী বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রকাশিত মুক্তির মহানায়ক কিংবা গ্যালারি কসমসের ব্রেভ হার্ট গ্রন্থে কাজগুলোর সংকলন প্রকাশ করা হয়েছে। আমার জানামতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিল্পী হাশেম খান, রফিকুন নবী, কাইয়ুম চৌধুরী, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শেখ আফজাল হোসেন, কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, আমিসহ অনেকেই কাজ করেছেন, নানাভাবে উপস্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ কমই হয়েছে, তবে কিছু হয়েছে। তাকে নিয়ে ফরমায়েশি কাজগুলো প্রতিকৃতিনির্ভর। পেইন্টারদের মধ্যে অনেকে ভালো প্রতিকৃতি আঁকতে পারেন না, কিন্তু পেইন্টিং ভালো করেন। যারা প্রতিকৃতি আঁকেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিল্পী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খুব সিরিয়াসলি কাজ করেছেন। সংখ্যার দিক থেকে যাচাই-বাছাই করলে কম নয়, অনেক, ক্রমেই আরো হবে। সব হয়তো প্রকাশ হয়নি, প্রদর্শনীতে, প্রকাশনায় আসেনি। বঙ্গবন্ধুকে  নিয়ে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাজের কথা উল্লেখ করতে হয়। অত্যন্ত বোল্ড স্ট্রোকে তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকেছেন। তিনি হুবহু প্রতিকৃতি আঁকেননি, কিন্তু তার তুলির আঁচড়ে বঙ্গবন্ধুর আদল পুরোপুরি ফুটে উঠেছে, যা খুব স্পস্টভাবে বোঝা চেনা যায়। আমি মনে করি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাজগুলো উল্লেখযোগ্য।

আমার কাছে বঙ্গবন্ধু ইনোসেন্ট

শাহাবুদ্দিন আহমেদ

আমি প্যারিস যেতে চাইনি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পিকাসোকে মারই দিতে পারবি না। তার কথা আমাকে শক্তি দিয়েছেআমি বড় শিল্পী হব, তাকে দেখাব, পারব। হঠাৎ তো পঁচাত্তর ঘটল। সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। দূর থেকে বিশ্বাস করিনি। তখন চিঠিতে আমার বাবা লিখেছিলেন, দেশে এলে তুই চুল কেটে আসিস। আমি এলাম। লুকিয়ে, ভয়ে ভয়ে। ১৯৮১ সালে প্রদর্শনী করতে চেয়েছিলাম শিল্পকলা একাডেমিতে। বঙ্গবন্ধুর ওপর আঁকা চিত্রকর্ম থাকায় প্রদর্শনী করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার দুই হাজারের বেশি ছবি রয়েছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়া চিত্রকর্মটির কথা বলব। ভীষণ কষ্টের একটি ছবি। দৃশ্যটি আমাকে ভীষণ আবেগতাড়িত করে। এত ইনোসেন্ট একজন মানুষ মাটিতে এভাবে লুটিয়ে আছেন, আমার কাছে বঙ্গবন্ধু ইনোসেন্ট। আমি স্বাধীনতা বিজয় দেখেছি। একজন শিল্পীর জন্য সাহস গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে হাল ছেড়ে দেয়। একজন-দুজনই টিকে যায়। বঙ্গবন্ধুকে আমি বিভিন্নভাবে ক্যানভাসে এনেছি। হাজার হাজার পেইন্টিং করেছি, তার মধ্যে হয়তো কয়েকটা কাছাকাছি এসেছে। অথচ লোকেরা কিন্তু একটা ছবিই দেখে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যখন রবীন্দ্রসংগীত গায়, তার কণ্ঠে একেকটা গান একেক রকম। আমার পেইন্টিংও তাই।

সব্যসাচী হাজরার করা বঙ্গবন্ধুর লোগোটা গ্র্যাফিক্যালি অত্যন্ত ভালো কাজ

ওয়াকিলুর রহমান

প্রথমত, একটি দেশ জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে যে ধরনের কাজ করা হয়, আমাদের দেশের শিল্পীরাও সেভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। একটি জাতির জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর ওপর ঐতিহাসিকভাবে কিছু আলোকচিত্রনির্ভর ডকুমেন্টেশন আমরা পেয়েছি। কিন্তু সরাসরি বা তাকে মুখ্য করে আঁকা শিল্পকর্ম আমরা খুঁজে পাই শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাজে। তিনি তার নিজস্ব স্টাইলে বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে শিল্পীদের অসংখ্য কাজ করতে দেখি। তবে তার বেশিরভাগই আলোকচিত্র থেকে নেয়া। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে বিশ্লেষণ করে, তার বৈশিষ্ট্যগুলো সামনে রেখে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে আমি মনে করি বেশ বড় অংশের শিল্পকর্মকে এখান থেকে বাদ দেয়া যায়। এছাড়া আমরা বেশকিছু ইনস্টলেশনধর্মী কাজ দেখি।


যেমন জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে পরিণত বয়স পর্যন্ত বড় আকারের ইনস্টলেশনধর্মী কাজে তাকে প্রকাশ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিচর্চার মধ্যে অনেকেই ভালো কাজ করেছেন। আমার যতটুকু দেখা সে বিবেচনায় খুব কমসংখ্যক শিল্পীই বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, তার পরিচিতি, বাঙালি জাতি প্রসঙ্গে তার ভূমিকা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তাকে উপস্থাপন বা বিশ্লেষণধর্মী কাজ করেছেন। জলরঙ, তেলরঙ, অ্যাক্রিলিকে ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রচুর ভাস্কর্য আমরা দেখতে পাই। কিন্তু সেখানে শিল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি ভাবগত উপাদানের ভিত্তিতে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টাটা আমরা একটু কমই দেখি। আমরা জানি, কমিশন কাজগুলোয় কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে যায়। এখানে নিজস্ব অবস্থান থেকে দেখার, চর্চার উপস্থাপনের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তার পরও বলব আমরা শিল্পীরা যদি এগুলো কিছুটা অতিক্রম করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আরো কিছু মূল্যবান কাজ পেতাম।

শিল্পী সব্যসাচী হাজরার করা বঙ্গবন্ধুর মনোগ্রামের কথা বলতে হয়, গ্র্যাফিক্যালি অত্যন্ত ভালো কাজ হয়েছে। যদিও আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের কাজ হতে দেখি। দুঃখজনক সে ধরনের প্রভাব আমাদের এখানে ওইভাবে পড়েনি। শিল্পীরা স্বাধীনভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করেছেন সংখ্যা আসলে বেশি নয়।

 গ্রন্থনা: রুহিনা ফেরদৌস

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন