তরুণদের হার্ট অ্যাটাক

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা

ফিচার ডেস্ক

ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রায় শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে বলে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে। তবে এ সেবা জেলা পর্যায়ে বা মাধ্যমিক হাসপাতালে এখনো পৌঁছেনি। হৃদরোগের চিকিৎসা রাজধানীকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় এখন দক্ষ জনবল ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। ফলে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিদেশ নির্ভরতা কমে এসেছে। দেশে প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি হয় ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে। সে সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সার্জারি হয়। ওই ইনস্টিটিউট এখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৬৭ শতাংশ অসংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। অসংক্রামক রোগে মৃতদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি সুবিধার মধ্যে ২২টি হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। বছরে এসব হাসপাতালে প্রায় ১২ হাজার বাইপাস সার্জারি হয়। প্রায় ১৬ হাজার হয় এনজিওপ্লাস্টি। হার্টের ব্লকসহ গুরুতর সমস্যা নির্ণয়ের জন্য ৫০ হাজারের বেশি এনজিওগ্রাম করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ শনাক্তে কয়েকটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি থাকলেও তাতে যন্ত্রাংশ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বল্পতা রয়েছে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, দেড় দশকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দেশে হৃদরোগের চিকিৎসার পরিসর বেড়েছে। এখনো মাধ্যমিক পর্যায়ে এসব সেবা নিশ্চিত করা না গেলেও টারশিয়ারি পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় হৃদরোগের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এনআইসিভিডিতে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পাওয়া যায়। দেশের প্রথম আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক ধরনের হৃদরোগের চিকিৎসা করা হলেও পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাওয়া যায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে। এর বাইরে দেশে ১০-১২টি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন