১৬৯ সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস পুনর্বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সামষ্টিক অর্থনীতির সংকটের কারণে পুঁজিবাজারের টানা দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ৩১ জুলাই থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরের ওপর ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা) আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর পাঁচ মাসের মাথায় পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বর ১৬৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকেই এসব কোম্পানি ও ফান্ডের দর ক্রমেই কমতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাহারের দুই মাস পরেই এসব কোম্পানি ও ফান্ডের ওপর আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে বিএসইসি। গতকাল কমিশনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ১৬৯টি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারসংক্রান্ত ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বরের আদেশটি রদ করা হলো। এ সিকিউরিটিজগুলোর ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই জারি করা ফ্লোর প্রাইস আরোপসংক্রান্ত কমিশনের আদেশ অনুসারে কিংবা এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত সমাপনী দরের গড়ের মধ্যে যেটি কম সেটির ভিত্তিতে। নির্ধারিত এ দরই এসব সিকিউরিটিজের সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা বলে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ এগুলোর দর এর নিচে কমতে পারবে না। 

গত বছরের ২৮ জুলাই জারি করা আদেশ অনুসারে, এদিন ও এর আগের চারদিনের সমাপনী দরের গড়কে ফ্লোর প্রাইস ও সার্কিট ব্রেকারে নিম্নসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। গতকালের আদেশে গত বছরের ২৮ জুলাই জারি করা আদেশের শর্তগুলোও পুনর্বহাল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌প্রথমত, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে কিছু সিকিউরিটিজের ওপর ফ্লোর প্রাইস আছে আবার কিছু সিকিউরিটিজের ওপর নেই। এক্ষেত্রে একই বাজারে দুই ধরনের নিয়ম চলছে বলে কথা উঠেছে। তৃতীয়ত, ফোর্স সেলের কারণে যাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য বিনিয়োগকারী ও বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ফ্লোর প্রাইস আরোপের অনুরোধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এসব কারণেই কমিশন আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন