বীমা শিল্পে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব

বীমা শিল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সরকার মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে দিবসটিকে শ্রেণী থেকে শ্রেণীতে উন্নীত করা বীমা শিল্পের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। বীমাকে সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য আকর্ষণীয় করে তুলতে নিঃসন্দেহে জাতীয় বীমা দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা আইডিআরএর নির্দেশনা মতে, থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বীমা সেবা পক্ষ পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন বীমা কোম্পানির পক্ষ থেকেও মার্চব্যাপী বীমা সম্পর্কিত সভা, সেমিনার, মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা, বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি বিষয়ে কর্মসূচির আয়োজন করা হলে জনমনে আরো ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে বীমা কার্যকারিতা সুফল সম্পর্কে জনগণকে অধিকতর সচেতন করা যাবে, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ফলে দেশের অর্থনীতিতে বীমা পেনিট্রেশন বাড়বে। বছর জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ।

দেশে বিদেশে অফিস স্থাপন করে বীমা ব্যবসা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সারা বিশ্বে কভিড-১৯ মহামারীর দুর্যোগকালীন ২০২১ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠানের পথচলা শুরু হয়েছে। এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড অনুমোদনের প্রথম বছরেই আমরা কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রিমিয়াম অর্জন করেছি। ২০২১ সালের মে ব্যবসা সংগ্রহ শুরু করে ডিসেম্বর ক্লোজিং পর্যন্ত আট মাসে বাংলাদেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত তৃতীয় চতুর্থ প্রজন্মের সব জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম অর্জনকারী কোম্পানির প্রথম বছরে অর্জিত প্রিমিয়ামের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি অর্জন করেছে। এছাড়া ২০২২ সালে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ২৭ কোটি টাকা প্রথম বর্ষ কোটি ৮৩ লাখ টাকা নবায়ন প্রিমিয়ামসহ সর্বমোট ২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম অর্জন করেছে।

পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের বীমা খাতে অনুমোদনের প্রথম দ্বিতীয় বছরে সর্বাধিক ব্যবসা অর্জনকারী একমাত্র জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেবা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বীমা দাবি উত্থাপনের ২৪ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে শতভাগ পরিশোধ করে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্য ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। তারই ধারাবাহিকতায় বীমা খাতেও আমরা ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাপ্লাই করছি। দ্রুততম সময়ে সহজেই গ্রাহকসেবা দেয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, গ্রাহক অনলাইন মাধ্যমে (অনলাইন গেটওয়ে/মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে) সহজেই ঘরে বসে বীমা করবেন এবং বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করবেন, পরবর্তী সময়ে দ্রুততম সময়ে ঘরে বসেই সহজে বীমা দাবির টাকা পাবেন বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

আধুনিক উদ্ভাবনী ব্যবসার কৌশল হিসেবে আমরা প্রযুক্তিগত উত্কর্ষকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা কাগজের ব্যবহার কমনোর লক্ষ্যে মোবাইল ওয়েবভিত্তিক নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছি। স্বল্পসময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শাখা বিস্তারের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন নেটওয়ার্ক বিস্তার করে ডিজিটাল উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমাদের প্রতিটি অফিসে অতি সহজে প্রিমিয়াম জমার পাশাপাশি অনলাইনেও গ্রাহক প্রিমিয়াম জমা করে সহজেই -রিসিপ্ট সংগ্রহ করতে পারেন। পূর্ববর্তী প্রজন্মের বেশির ভাগ বীমা কোম্পানির আগেই আমরা আইডিআরএর ইউএমপি সিস্টেমের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হয়েছি। এর ফলে গ্রাহকের হালনাগাদ তথ্য বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল মাধ্যমেও সুরক্ষিত থাকবে। এছাড়া গ্রাহকদের আইডিআরএর ইউএমপি সিস্টেম থেকেও প্রিমিয়াম জমার নিশ্চিত মেসেজ দেয়া হয়, ফলে গ্রাহকদের আস্থা আরো বেড়েছে।

আমাদের সার্বিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমে টেকসই উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমের বিষয়ে অধিক যত্নবান। এছাড়া দেশের ঐতিহ্যেও চেতনা ধারণ করি এবং জাতির গৌরব উদযাপনে একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করি। করোনা মহামারীতে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়া অনেক পরিবারকে আমরা ২০২১ সালে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে আর্থিক সাহায্য করার মতো মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে আমাদের নিয়মিত অবদান প্রিয় মাতৃভূমির মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। আমরা তাই ধরনের মানবিক বিনিয়োগকে গর্বের সঙ্গে নেই, ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির নিরিখে নয়।

বঙ্গবন্ধু রাজনীতির বাইরে সারাজীবনে একটিমাত্র পেশায় কাজ করেছেন, সেটা হলো বীমা পেশা। এটা জেনে আমরা গর্বিত, আমাদের কাছে বঙ্গবন্ধু বড় অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গঠনের অঙ্গীকারে আমরাও কাজ করে যাব যার যার অবস্থান থেকে। দেশের বীমা শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা রাখব, ইনশা আল্লাহ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন