চাকরি ছেড়ে আফসানা এখন উদ্যোক্তা

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বিজিএমইএ ইউনিভর্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে পড়াশোনা অবস্থায়ই ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন আফসানা ফেরদৌসী। প্রথমদিকে ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার লক্ষ্য ছিল কেবল ডিগ্রি অর্জন; কখনো ভালো লাগা কাজ করত না। কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনের বই পড়তে পড়তে একসময় জগতের প্রেমে পড়ে যান। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীকে। জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫টির বেশি শো এবং এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। আফসানা এখন দেশে-বিদেশে দুই জায়গায়ই ফ্যাশন শোর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন। কর্মজীবনের সর্বশেষ বাংলাদেশ গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির টিম গ্রুপের সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শুরু থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজের একটি ব্র্যান্ড হবে। সে স্বপ্ন থেকেই ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে গড়ে তোলেন সাসটেইনেবল ক্লদিং ব্র্যান্ড আফসানা ফেরদৌসী (এএফ) এএফ ব্র্যান্ড শুরু থেকেই কোয়ালিটি এবং এথিকাল পণ্যের ওপর জোর দিয়ে আসছে। পরিবেশবান্ধব, প্রাকৃতিক রঙ, ৯৯ ভাগ হাতের সেলাই যা বাংলাদেশের নকশিকাঁথা থেকে শুরু করে লোকজ হাতের সেলাই স্থান পায় তার ক্লদিং ব্র্যান্ডে।

আফসানা ফেরদৌসী শুধু কাপড়ের ডিজাইনই করেন না, গহনা, ব্যাগ, জুতা এবং অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ নিয়ে কাজ করেন। একটি নজরকাড়া কাজ হলো আপ সাইক্লিং অর্থা? পরিত্যক্ত পোশাককে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা। তিনি পরিত্যক্ত টি-শার্টগুলোকে নতুন একটি রূপ দিয়েছিলেন যেগুলো প্রদর্শিত হয়েছিল বার্লিনে। বাংলাদেশের জামদানি মোটিফকে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শীতের পোশাকে নিয়ে এসে হয়েছেন সমাদৃত। ভিন্নধর্মী ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা তার কাজ দিয়ে সাড়া ফেলেছেন দেশ-বিদেশে। আফসানা ফেরদৌসী ব্র্যান্ড বলতে মানুষ এখন বোঝে এমন একটি পরিবেশবান্ধব ব্র্যান্ড যা নিজের শেকড় নিয়ে কাজ করে এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক বিভিন্ন ফ্যাশন শো, প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেন।

ফ্যাশন ডিজাইনার উদ্যোক্তা আফসানা ফেরদৌসী বণিক বার্তাকে বলেন, আমার ডিজাইনে যেহেতু দেশের মাটি, দেশের ঐতিহ্য বেশি প্রকাশ পায় সেখানেই আসলে আমার কাজের বৈচিত্র্য এসেছে। আমার পড়াশোনা, চাকরির অভিজ্ঞতা বেশির ভাগ পশ্চিমা, তাই ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্নের একটি মেলবন্ধন আমার কাজের মধ্যে থাকে। আমি এমনভাবে পোশাক ডিজাইন করি যা দেশী যে কেউ যেমন পরতে পারবে তেমনি একজন বিদেশীও আগ্রহ নিয়ে করতে পরবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন