মান কতটা নিশ্চিত করতে পারছি সেটাই বিবেচ্য

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আমরা গুণগত প্রসারে বিশ্বাসী। মানে নজর না দিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিভাগ কিংবা শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানোর কোনো ধরনের পরিকল্পনা আমাদের নেই। বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে আমরা দেশীয় বৈশ্বিক কর্মবাজার এবং  চাহিদা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের কিছু ব্যতিক্রমী প্রোগ্রাম রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় না। রকম আরো নতুন নতুন কোর্সের ডিজাইন করা হচ্ছে।

বিভাগ খোলার আগেই পর্যাপ্ত অবকাঠামো নিশ্চিত করা হয়। শ্রেণীকক্ষ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে চাইলেও ৩৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী একটি কক্ষে অংশ নিতে পারবে না। এটা করা হয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীর যোগাযোগ যেন অনেক সহজ সুন্দর হয়। একাডেমিক পাঠদানের পাশাপাশি তাদের মানসিক অবস্থার দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে দেখা গেল কভিড চলাকালেও আমাদের শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্যাম্পাসে আসতে ব্যাকুল হয়ে থাকত। সর্বোপরি মান কতটা নিশ্চিত করতে পারছি সেটাই বিবেচ্য।

ইস্ট ডেল্টায় বিভিন্ন কোলাবরেশন প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নলেজ শেয়ারিংয়ে সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। এজন্য বেশকিছু চুক্তিও করা রয়েছে। বিদেশ থেকে যেমন এসে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সেমিনার কর্মশালার মাধ্যমে নতুন নতুন বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে, একইভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরাও সেসব দেশে সরাসরি গিয়ে অংশ নিচ্ছে।

আর দেশের সার্বিক উচ্চশিক্ষা নিয়ে বলতে গেলে দেশে যত ছেলেমেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, সে অনুযায়ী শিক্ষায়তন নিশ্চিত হয়নি। হয় তো আকারগত দিক থেকে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশ ঊর্ধ্বগামী। এটা বছর বছর বেড়েই চলেছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যই মুখ্য হয়ে উঠেছে। এর থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে নিতে হবে। দেখা গেল ১২০ শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে নিল অথচ ৮০ জনের পাঠদান ব্যবস্থাও ঠিক করা হয়নি। অনেকে তো ধরেই নেয় ভর্তি হলেও অন্তত ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটাও কতটা উপযুক্ত। উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে জায়গাগুলোয় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন