এআরএমভিত্তিক ম্যাক ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারে নতুন পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। খবর গিজমোচায়না।
মাইক্রোসফটের সাপোর্ট পেজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি ডেস্কটপ ১৮ সফটওয়্যার ব্যবহার করে এম১ ও এম২ চিপভিত্তিক ম্যাক ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ প্রো ও এন্টারপ্রাইজ অপারেটিং সিস্টেমের এআরএম সংস্করণ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
ইনটেলের চিপনির্ভর ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ পিসি উপযোগী সফটওয়্যার ইনস্টল পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য পরিচিত সফটওয়্যার কোম্পানি প্যারালালস। অন্য এক প্রতিবেদনে এনগ্যাজেট জানায়, কাজের জন্য যদি উইন্ডোজের প্রয়োজন হয় তখন তাত্ত্বিকভাবেই সেটি করে ফেলা সম্ভব। তবে এতে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
ইউজারদের কেউ এতে ৩২ বিটের এআরএমভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ মাইক্রোসফট এআরএমভিত্তিক উইন্ডোজ বিল্ডে ৩২ বিটের সফটওয়্যারের সমর্থন তুলে নিয়েছে। উইন্ডোজ ১১-এর বিভিন্ন এআরএম ড্রাইভার ইনস্টল ছাড়া কোনো ডিভাইস কাজও করে না। আর ডিরেক্টএক্স ১২ বা ওপেনজিএল ৩.৩-এর মতো সফটওয়্যার দরকার, নতুন এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন এমন গেম চালানোর আশা বাদ দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।
২০২১ সাল থেকে এআরএমভিত্তিক ম্যাক ডিভাইসের প্যারালালস সফটওয়্যারে উইন্ডোজ ১১ চালানো সম্ভব। আর এগুলো তুলনামূলক ভালোভাবেই কাজ চালিয়ে আসছিল। তখন ব্যবহারকারীকে অপারেটিং সিস্টেমের ইনসাইডার প্রিভিউ সংস্করণ ব্যবহার করতে হতো। মাইক্রোসফট অবশ্য বলেছে, সে সময় তারা নতুন ম্যাক ডিভাইসে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম সমর্থনের বিষয়টি পরিকল্পনা করেনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ অনুমোদিত পন্থা বিভিন্ন লাইসেন্স-সংশ্লিষ্ট শঙ্কা দূর করবে। আর প্যারালালস ডেস্কটপ ১৮ ব্যবহারে অল্প সময়েই উইন্ডোজ ১১ ডাউনলোড ও ইনস্টলের সুবিধা দেয় ব্যবহারকারীকে।
ভার্জের এক প্রতিবেদনে মাইক্রোসফট কীভাবে এ লাইসেন্সিং ব্যবস্থা পরিবর্তন করেছে, তা পরিষ্কার নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি কেবল পিসি সরবরাহকদের কাছে সরাসরি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের এআরএম সংস্করণের লাইসেন্স দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্যারালালস এনগ্যাজেটকে জানায়, ব্যবহারকারী একক অথবা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সাধারণ উপায়ে উইন্ডোজ ১১ প্রোর লাইসেন্স কিনতে পারবে।
যারা ম্যাক ডিভাইসে পুরো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সমর্থন চান তারা সম্ভবত এ ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হবেন না। এর উদাহরণ হিসেবে অ্যাপলের বুট ক্যাম্প চালানো ইন্টেলভিত্তিক ম্যাক মালিকদের কথাও এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।