স্বর্ণ শিল্পের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আশ্বাস শিল্পমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুয়েলারি শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট একটা জায়গা দরকার, যেখানে সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এতে স্বর্ণ শিল্পের চোরাকারবারি বন্ধ হবে। পাশাপাশি একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এছাড়া বসুন্ধরা যদি জায়গা দেয় বা পূর্বাচলের আশপাশে এ রকম একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাজুস ফেয়ার-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত ‘জুয়েলারি শিল্পে সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজুসের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন সংগঠনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জুয়েলারির ব্যবসা কটেজ ইন্ডাস্ট্রির মতো শুরু হলেও সেভাবে বড় হয়নি। এ শিল্পকে আমরা বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। দেশীয় বাজারও অনেক বড়। এ ব্যবসায় আমাদের বড় প্রতিপক্ষ ভারত। আমাদের দেশে জুয়েলারি শিল্পের কাঁচামাল প্রস্তুতের কোনো ব্যবস্থা নেই, যে কারণে এ খাতে সংকট সৃষ্টি ও চোরাকারবারি হচ্ছে। তাই এখানে রিফাইনারি হলে আমাদের ব্র্যান্ড কোয়ালিটি বজায় রাখা সম্ভব হবে। এটাই আমাদের প্রথম কাজ। হ্যান্ডক্রাফট থেকে মেকানাইজড পদ্ধতিতে নিয়ে যেতে পারলে এ খাতের দ্রুত উন্নয়ন হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘‌জুয়েলারি শিল্পের জন্য নিরাপদ জায়গা দরকার। বাজুসের কয়েক শতাধিক সদস্য একটা নিরাপদ জায়গার দাবি তুলেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌নির্দিষ্ট জায়গা পেলে এখান থেকে বাইরে রফতানিও করা সম্ভব। এছাড়া এখানে যারা ব্যবসা করবে তাদের ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। এটা করা গেলে স্বর্ণেও আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারব।’

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‌স্বর্ণালংকার খাতে আমাদের দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, কিন্তু এ ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পলিসি সহযোগিতা দিতে হবে। এছাড়া কাঁচামালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন