
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ধসে পড়া
ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্ম নেয়া এক শিশুকন্যাকে দত্তক নিতে চাইছে হাজার হাজার মানুষ।
খবর বিবিসি।
জিন্দারিস শহরের শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আয়া।
আরবি শব্দটির অর্থ অলৌকিক। যখন উদ্ধার করা হয় তখনো সে মৃত মায়ের সঙ্গে নাড়ির মাধ্যমে
সংযুক্ত ছিল।
প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে শিশুটির মা-বাবা ও
চার ভাইবোন নিহত হয়েছে।
আয়া এখন হাসপাতালে রয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল
বলে জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানি মারুফ। তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি যখন তাকে আনা
হয় অবস্থা সংকটজনক ছিল। সারা শরীরে ছিল ক্ষত। ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছিল। নিশ্বাস নিতেও
কষ্ট হচ্ছিল।
আয়াকে উদ্ধারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়
ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি একটি ভবনের ধসে পড়া ধ্বংসাবশেষ থেকে
ধুলোয় ধূসরিত শিশুটিকে নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন।
শিশুটির দূরসম্পর্কিত আত্মীয় খলিল আল-সুওয়াদি
তাকে সিরিয়ার আফরিনে ডা. মারুফের কাছে নিয়ে যান।
ভিডিও ও খবর ভাইরাল হওয়ার পর শিশুটি সারাবিশ্বে
পরিচিত পায়। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মানুষ তাকে দত্তক নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ
করছে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক খালিদ আত্তিয়া জানান,
বিভিন্ন দেশ থেকে তার কাছে অসংখ্য ফোনকল এসেছে। ডা. খালিদের চার মাসের একটি মেয়ে রয়েছে।
তিনি জানান, শিশুটিকে পরিবারের কেউ নিতে চাইলে ফিরিয়ে দেবেন। তবে ততক্ষণ নিজের সন্তানের
মতো বড় করবেন। তার স্ত্রী নিজের মেয়ের পাশাপাশি আয়াকে স্তন্য পান করাচ্ছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে উত্তর তুরস্ক ও
দক্ষিণ সিরিয়ায় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প। এরপর আফটার শকে বারবার কেঁপে
ওঠে বিস্তৃত অঞ্চল। এছাড়া দুপুরের দিকে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।
এ ঘটনায় ২১ হাজারের বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে।