পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত

নানাবিধ ক্যান্সারের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি। পিত্তথলির সমস্যা বলতে সাধারণ পাথরজনিত সমস্যার প্রসঙ্গই আসে। নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে পিত্তথলির ক্যান্সার। প্রথমেই এর কারণ এবং প্রি-ডিসপোজিং ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। সাধারণ নারী রোগী, বৃদ্ধ এবং দীর্ঘসময় ধরে পিত্তথলির পাথর যারা বহন করে বেড়াচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা নিচ্ছে না তারা পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, যাদের পাথরের আকৃতি বেশি অর্থাৎ সে.মি.-এর থেকে বৃহদাকার পাথর দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াচ্ছে তাদের পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে প্রায়  তিন গুণ বেশি।

উপসর্গের প্রসঙ্গে বলতে গেলে, রোগীদের প্রধান সমস্যা থাকে পেটের ওপরের দিকে ডান দিকে ব্যথা অনুভব হওয়া এবং কোনো কোনো পর্যায়ে ওজন কমা, ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস বা চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং রোগের একদম শেষ পর্যায়ে বড় চাকা নিয়েও অনেক সময় রোগীরা ডাক্তারের কাছে আসে। রোগ নির্ণয়ে আমরা সাধারণত রোগীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশনের পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্তের কিছু পরীক্ষা করি। পাশাপাশি রোগ শরীরে কতটুকু ছড়িয়েছে তা নির্ণয়ে অর্থাৎ রোগের স্টেজিং করার জন্য সিটিস্ক্যান এবং টিউমার মার্কার পরীক্ষা করে থাকি।

চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে বলতে হয়, প্রথমেই আমরা ডাক্তাররা আগে জেনে নিতে চাই রোগটি কোনো পর্যায়ে আছে। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে আমরা পিত্তথলি অপসারণ করে থাকি। যদি রোগটি জটিল পর্যায়ে যায় তাহলে পিত্তথলি অপসারণের পাশাপাশি আমরা যকৃতের কিছু অংশ, পিত্তনালি অপসারণসহ আরো কিছু অপারেশন করে থাকি। যাকে আমরা ডাক্তারি ভাষায় কিউরেটিভ বা রেডিক্যাল সার্জারি বলে থাকি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি অথবা কেমোথেরাপির সাহায্যও নিয়ে থাকি।

রোগের প্রতিকারের বিষয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের পর উপসর্গগুলো দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া এবং কালক্ষেপণ না করে অতিদ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নেয়া জরুরি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন