মির্জা ফখরুলের দাবি

উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি ছিল না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি শতাংশের বেশি ছিল না বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী এসব উপনির্বাচনে ১৫-২৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল। কিন্তু আমাদের হিসাবে ভোটার উপস্থিতি শতাংশের বেশি নয়। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, দলীয় সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পদত্যাগ করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য ঘোষণা করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- , ঠাকুরগাঁও-, বগুড়া- আসন। বুধবার এসব আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিসহ অন্যান্য বিষয়ে সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

লুট-দুর্নীতি বিস্তারের অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে দুর্নীতি লাগামহীন, যেখানে চুরি হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য সেখানে বিশ্বমন্দার কথা বলে কোনো লাভ নেই। বিশ্বমন্দার পর আপনারা মানুষের জীবনকে দুঃসহ করে তুলছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। চালের দাম আপনারা বাড়াচ্ছেন, লবণের দাম, তেলের দাম আপনারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। আজকে বিদ্যুতের দাম দুবার-তিনবার করে ১৫ বার বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুতে যে চুরি আপনারা করছেন সেই চুরি বন্ধ করলে তো বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয় না। গ্যাসে যে চুরি আপনারা করছেন সেটা বন্ধ করলেও দাম বাড়াতে হয় না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন নতুন করে রাস্তা খোঁড়া শুরু হয়েছে। এই যে লুটের চলমান প্রক্রিয়া, তা চলছে। এভাবে লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে। দেশের প্রতি বা জনগণের প্রতি যেহেতু কোনো দায়বদ্ধতা নেই, সেজন্য তারা আজ লাগামহীনভাবে দুর্নীতি করে চলেছে। আমরা সরকারের এহেন অপকর্মের নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারের দমন-পীড়ন, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে আগামীকাল বিভাগীয় সদরে সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আজকে আমার স্বকীয়তা, আমার স্বাতন্ত্র্য, আমার ঐতিহ্য, আমার কৃষ্টি, আমার সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য আমি কেন উঠে দাঁড়াচ্ছি না। কথা বলতে হবে। বিএনপির শিক্ষা বিভাগ ইউট্যাব কাজটি করছে। প্রতিবাদগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ে সেমিনার করবেন, প্রত্যেকটা জেলা সদরে বিষয়ে সেমিনার করবেন। আপনারা প্রয়োজনে সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামবেন যে অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকগুলো বাতিল করতে হবে। সত্যিকার অর্থেই আমার জাতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আমার জাতির যা প্রকৃত ইতিহাস, আমার জাতিকে গঠন করার জন্য যা প্রয়োজন সেগুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন