‘‌তাণ্ডবের পর ওটিটি প্লাটফর্মগুলো ভয়ে আছে’

ফিচার ডেস্ক

নেটফ্লিক্সের প্রথম ভারতীয় কনটেন্ট ছিল ‘সেক্রেড গেমস’। ২০১৪ সালে ওটিটি প্লাটফর্মটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক বারমাক ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানিকে তাদের জন্য ভারতীয় কনটেন্ট নির্মাণ করতে বলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান লেখক বিক্রম চন্দ্রের ২০০৬ সালে প্রকাশিত একই নামের থ্রিলার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় সেক্রেড গেমস। ২০১৮ সালের ৫ জুলাই প্রথম সিজনের স্ট্রিমিং শুরু হয়। মুম্বাই পুলিশ ইন্সপেক্টর সরতাজ সিং ও ক্রাইম লর্ড গণেশ গায়তোন্ডেকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সিরিজটির গল্প। তুমুল জনপ্রিয়তা পায় প্রথম সিজন। একমাত্র ভারতীয় সিরিজ হিসেবে উঠে আসে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের ‘দ্য থার্টি বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল টিভি শোস অব দ্য ডেকেড’ তালিকায়। দ্বিতীয় সিজনে দর্শকপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তথাপি সিজন থ্রি আসার সম্ভাবনা থাকলেও এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্স এ বিষয়ে অফিশিয়াল কোনো ঘোষণা দেয়নি। সিরিজটির প্রথম ও দ্বিতীয় সিজনে যথাক্রমে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানি ও নীরাজ ঘাইওয়ানের সঙ্গে সহনির্মাতা হিসেবে ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। সম্প্রতি ম্যাশেবল ইন্ডিয়ার দ্য বোম্বে জার্নি ইউটিউব সিরিজে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। 

অনুরাগ বলেন, ‘‌বিক্রম মোতওয়ানি স্যাকরেড গেমস নিয়ে কাজ করছিল। মুক্কাবাজের শুটিং শুরু করার ১০ দিন আগে সে আমাকে তার সঙ্গে যুক্ত হতে বলে। আমি তাকে বললাম, আমি সবসময়ই আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু আমাকে নিয়ে তাদের সমস্যা আছে। স্থানীয় কিছু মানুষ তাদের বলেছে, আমার কোনো নারী দর্শক নেই। এটি ছিল আমার বলয়। অবশেষে তারা এগিয়ে এলো। ... সিজন থ্রি আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা এটি বন্ধ করে দিল। এর উত্তর নেটফ্লিক্সই ভালো জানে।’

স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোর হাল-হকিকত নিয়েও কথা বলেন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনি জানান, পলিটিক্যাল ওয়েব সিরিজ ‘তাণ্ডব’ নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কারণে সব স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ভয়ে আছে। ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’খ্যাত নির্মাতা বলেন, ‘‌বর্তমানে ওটিটির প্রযোজকদের সাহস নেই। তাণ্ডবের পর সবাই ভয় পেয়ে গেছে।’

ভারতে ওটিটি যেভাবে কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করেছিল তাতে আসলেই ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে। এখন আর ওটিটির কনটেন্টে প্রথম দিকের সেই ধারাল ভাবটা পাওয়া যায় না। এর পেছনে সিরিজ ‘‌তাণ্ডব’কে ঘিরে হওয়া বিতর্কের প্রভাব রয়েছে। ২০২১ সালে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে স্ট্রিমিং শুরু হয় সিরিজটির। সেখানে অভিনেতা মোহাম্মদ জিসান আইয়ুবের একটি দৃশ্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অভিযোগে কলাকুশলী ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছিল। আপত্তিকর দৃশ্য পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন নির্মাতা আলী আব্বাস জাফর।

সূত্র ও ছবি: আউটলুকইন্ডিয়া ডট কম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন