রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব

গমের বৈশ্বিক বাজারে হিস্যা বাড়ছে ব্রাজিলের

বণিক বার্তা ডেস্ক

গম রফতানিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুই দেশ রাশিয়া ইউক্রেন। চলমান সংঘাতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দুটির রফতানি কার্যক্রম। সুযোগে বিশ্ববাজারে শস্যটির বাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে ব্রাজিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশটি জানুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানি করেছে। ব্রাজিলের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সিরিয়াল এক্সপোর্টার্সের (অ্যানেক) তথ্যানুসারে, জানুয়ারিতে প্রায় লাখ হাজার ৮০০ টন গম রফতানি করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের এক মাসের রেকর্ড লাখ ৯৫ হাজার ৯০০ টন গম রফতানিকে ছাড়িয়ে গেছে।

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল রিও গ্র্যান্ডে দো সুল গম উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। এবার সেখানে শস্যটির উচ্চফলন হয়েছে। বিপরীতে খরা পরিস্থিতির কারণে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন কম, যা ব্রাজিলের গম রফতানি বৃদ্ধির কার্যক্রমকে আরো ত্বরান্বিত করছে।

অ্যানেকের মহাপরিচালক সার্জিও মেন্ডেস রয়টার্সকে বলেন, ব্রাজিল শস্যের বড় উৎপাদক রফতানিকারক দেশ। সয়াবিন ব্যবসায় বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পর অন্যান্য পণ্য রফতানির দিকেও মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া শস্য আমদানিকারকরা ব্রাজিলকে একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে মনে করে, যা রফতানি কার্যক্রমের জন্য সহায়ক। ব্রাজিলে উৎপাদিত গমের প্রায় ৫০ শতাংশই যায় ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব সুদানে। তাছাড়া ভিয়েতনামও আমাদের স্থায়ী ক্রেতা।

বৈশ্বিক বাজারে ব্রাজিলের গম রফতানি সম্পর্কে সার্জিও মেন্ডেস আরো বলেন, ভালো ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশগুলোয় রফতানির ধারাবাহিকতাও বজায় রাখছি। ফলে লেনদেন কার্যক্রম ক্রমেই উন্নত অগ্রসর হচ্ছে।

গত বছরের আগস্টে ব্রাজিলে ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে মৌসুম শেষ হবে। সময় লাতিন আমেরিকার দেশটি সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টন গম রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টোনএক্স। সংস্থাটি আরো বলছে, আগের বছরের রেকর্ড রফতানি পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বছরও বজায় থাকবে।

বৈশ্বিক বাজারে ব্রাজিলের গম রফতানির পরিমাণ বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন