সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা

এখন পৃথিবীর অনেক দেশেই বেগমপাড়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেছেন, আগে শোনা যেত কানাডায় বেগমপাড়া। এখন পৃথিবীর অনেক দেশেই বেগমপাড়া হচ্ছে। শুধু রাজনীতিবিদ নয়, সরকারি কর্মকর্তারাও বিদেশে বাড়ি কিনছেন। দেশ থেকে টাকা যাচ্ছে সুইস ব্যাংকে। কানাডা, দুবাইয়ে অনেক ১০-২০টা বাড়ি কিনছে। দেশ থেকে টাকা পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীভাবে নজরদারি করে সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা। প্রকৃত হিসাব করলে এটি লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এক ব্যাংকের মালিক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অল্প কিছু মানুষের কাছে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আজকের প্রধানমন্ত্রী যেমন আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমিও তরিকত ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এমপি হব, ব্যাপারে কোনো ভুল নাই। তখন হয়তো আমি আমার বাকি কাজ করে নেব।

আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি আসুক আর না আসুক। কিচ্ছু আসে যায় না। ১৪ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে।

১৪ দলীয় জোট সক্রিয় আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের উন্নয়নে দরকার ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে নজিবুল বশর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের যোগসাজশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমার এলাকায় অনেক কিছুই হয়েছে। তার পরও অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও হয়েছে। আমরা যেটা আশা করি নাই সেখানেও হয়েছে। তবে জনসংখ্যা পরিবারভিত্তিক যদি ধরি তাহলে আমাদের বিদ্যুতের অনেক ঘাটতি রয়েছে। আরো প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের ৬৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ছিল তা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

খাগড়াছড়ির ৫০-৬০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন হয়েছে বলে জানিয়ে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২১৭ কোটি টাকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এলাকাকে আলোকিত করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ যাওয়া সম্ভব, সেখানে বিদ্যুৎ যাওয়া প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন