
চীনে চিপ তৈরির সরঞ্জাম রফতানিতে নতুন সিদ্ধান্ত
নিতে যাচ্ছে জাপান ও নেদারল্যান্ডস। বেইজিংয়ের ওপর আরোপ করা মার্কিন বিধিনিষেধে দেশ দুটি যোগ
দেবে বলে আশা করছে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
অবশ্য এ বিষয়ে সরাসরি কোনো দেশ মন্তব্য করেননি।
তবে অস্বীকারও করেনি।
ওয়াশিংটনে এক ইভেন্টে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা
হলে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডন গ্রেভস বলেন, ‘আমরা এখনই চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে
পারি না।’
সঙ্গে এও বলেন, ‘জাপান ও নেদারল্যান্ডসে আমাদের
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
এ চুক্তি সংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তি গত শুক্রবার
(২৭ জানুয়ারি) রয়টার্সকে বিধিনিষেধের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা
উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে
বৈঠকে অংশ নেন।
সেমিকন্ডাক্টর বিষয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনা
করা হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নে ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছি, তবে এর বেশিরভাগই
প্রাইভেট।’
গত অক্টোবরে চীনে চিপ তৈরির সরঞ্জাম রফতানিতে
ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত বেইজিংয়ের চিপ শিল্পের বিস্তৃতি ও সামরিক
সক্ষমতা বাড়ানো ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত।
এখন বিধিনিষেধ বিস্তৃতভাবে কার্যকরের জন্য
ইউরোপ ও এশিয়ার দেশ দুটিকে কাছে টানছে ওয়াশিংটন। নেদারল্যান্ডসে রয়েছে অন্যতম চিপমেকার
এএসএমএল ও জাপানে টোকিও ইলেকট্রন।