
চিনির নতুন দর নির্ধারণ করে দিলেও দিনাজপুরের
হিলিতে কোনো দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে না মোড়কজাত চিনি। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে অন্তত ৮ টাকা বেশি দরে প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সম্প্রতি মোড়কজাত চিনির দাম ১০৮ থেকে বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি ১০২ থেকে বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স আ্য্যসোসিয়েশন। নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরের কথা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে হিলিতে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩ টাকা এবং আগের চেয়ে ৮ টাকা বেশি দরে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে মোড়কজাত চিনি। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
বাহার আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজার থেকে সরকার নির্ধারিত দামে চিনি কিনতে পারছি না। মোড়কজাত চিনি একেবারেই নেই। খোলা চিনি থাকলেও দাম বেশি। খোলা চিনির দাম ১০২ থেকে বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু ১১০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা।
আকতারুজ্জামান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, চিনির দাম বেড়েই চলছে। বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দাম বাড়ায় আমরা সমস্যার মুখে পড়েছি।
সাইদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মোড়কজাত চিনি কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু কোনো দোকানেই পাচ্ছি না। ফলে বাধ্য হয়ে খোলা চিনি কিনেছি। কিন্তু দোকানদাররা অনেক বেশি দামে এটি বিক্রি করছে।
হিলি বাজারের চিনি বিক্রেতা ফেরদৌস আলম বলেন, বর্তমানে আমরা কোনো মোড়কজাত চিনি পাচ্ছি না। কোম্পানিগুলোকে ক্রয়াদেশ দিলেও তারা সরবরাহ করছে না। এমনকি বেশ কিছুদিন ধরে কোম্পানির কোনো প্রতিনিধিও আসছে না। আমরা মোকামে খোলা চিনি পাচ্ছি, সেটিই বিক্রি করছি। খোলা চিনি আগে থেকেই ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছিলাম। এখনো সে দামেই বিক্রি করছি। সরকার ১০৭ টাকা দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু মিল থেকে ডিলাররা চিনি কিনে নিয়ে এসে আমাদের কাছে ১০৮ টাকা দরে বিক্রি করছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের কারসাজি করতে না পারে, সেজন্য আমরা বাজারসংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। তবে সম্প্রতি চিনি মজুদ করা বা বাজারে উচ্চমূল্যে চিনি বিক্রির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এটি প্রতিরোধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।