আইএমএফের ঋণ নিয়ে মতামত

অর্থনীতিকে দ্রুত পুরনো প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি

. শামসুল আলম

প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

 

আইএমএফের কাছে যথাযথভাবেই ঋণ চাওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ায় প্রতিভাত হয়েছেআমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্ট। আমাদের ক্রেডিট রেটিং যা আছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় তারা সন্তুষ্ট। কারণেই আমাদের সাড়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণে ঋণ দিয়েছে। আইএমএফের ঋণ অনুমোদন প্রমাণ করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সঠিক পথে আছি। সংস্থাটি যা চাচ্ছে, সেগুলো আমরা করতে না পারলে তারা ঋণ অনুমোদন দিত না, পারব বলেই দিয়েছে। আমাদের ওপর আস্থা আছে বিধায় তারা দিয়েছে। এটা প্রমাণ করে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্ট। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যের ওপর তাদের আস্থা আছে। ক্রেডিট রেটিং যে হয় আন্তর্জাতিকভাবে, তার ওপর ভিত্তি করে আইএমএফ আমাদের প্রতি আস্থা দেখিয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের জন্য এটা একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যে যারা বিদেশী, যারা আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করেন, আমাদের ওপর তাদের আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

শুধু সংকটের জন্য ঋণবিষয়টি এমন নয়। সংকটে না থাকলেও ঋণ নেয়া যায়। ঋণের সঙ্গে সংকটের সম্পর্ক নেই। সিঙ্গাপুর বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে, তারা কি সংকটে আছে? ঋণ নেয়া বা না নেয়ার সঙ্গে সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই। সংকট কিছুটা থাকাতে আমরা একটু বেশি ঋণ চাচ্ছিলাম, যাতে অর্থনীতি আমরা ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারি, আমাদের মূল্যস্ফীতি যাতে আমরা কমিয়ে রাখতে পারি। কাজেই ঋণের সঙ্গে সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই। সংকটের সম্পর্ক থাকলে জাপানের ঋণ এত বেশি হয় কীভাবে? তারা কি সংকটে আছে? কাজেই এটা পরিষ্কার সংকটের সঙ্গে ঋণ গ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এখন উৎসাহী, অর্থনীতিকে দ্রুত আমরা পুরনো প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন