বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চায় আর্জেন্টিনা। এ লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীসহ দেশটির উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে। গতকাল দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে এ কথা জানান নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আর্জেন্টিনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) এবং দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অফিসের প্রধান ফ্রাঙ্কো অগাস্টিন সেনিলিয়ানি মেলচিওর। এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
আর্জেন্টিনা দূতাবাসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। এ খাতগুলো নিয়ে কাজ করে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।’ বাংলাদেশে লিথিয়াম, অলিভ অয়েল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্বর্ণের কাঁচামালের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছে একটি ভালো বিকল্প হতে পারে আর্জেন্টিনা। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনায়ও পোশাকের প্রচুর চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের রফতানিকারকরা সে চাহিদাকে কাজে লাগাতে পারে।’ তিনি আর্জেন্টিনার বৈচিত্র্যপূর্ণ খাতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ‘খনিজ ও ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশী রফতানিকারকদের জন্য আর্জেন্টিনার টেক্সটাইল মার্কেট ভালো সুযোগ তৈরি করবে।’
তিনি জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে এফবিসিসিআই বিটুবি বৈঠকের আয়োজন করবে। এফবিসিসিআই সহসভাপতি চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দেয়ার জন্য আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী ও সরকারকে আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু, সিআইপি এমজিআর নাসির মজুমদার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, আক্কাস মাহমুদ।
এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক
এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ফুড সেফটি অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি, কাউন্টারফিটিং অ্যান্ড এডাল্টারেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। আরো ছিলেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম রেজনু; কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন; এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা প্রমুখ।
