বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে গণতন্ত্রের জয়যাত্রা বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা, এ পদযাত্রা সভ্যতার জয়যাত্রা, মানুষের অধিকার আদায় করার জয়যাত্রা, আমাদের এ পদযাত্রা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা।’
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শুরুর আগে দেয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন রেলগেটের দিকে পদযাত্রা শুরু হয়।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরে পদযাত্রা করছি। আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে কেউ দুর্বলতা মনে করবেন না। এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে, ঢাকার মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ যাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করব। এর মধ্য দিয়ে আমরা নতুন যাত্রা শুরু করেছি, নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। এটি আমাদের মুক্তির লড়াই, জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করবার লড়াই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তারা এখন প্রমাদ গুনছে। তারা প্রতিদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আজকে চালের দাম কত হয়েছে? ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল না? এখন কত খাচ্ছেন? ডালের দাম কত, লবণের দাম কত, আটার দাম কত? পুরান ঢাকাসহ সারা দেশে গ্যাস নেই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের হাতে ভোট নিরাপদ কেমন করে? এই যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের এমপি সাত্তার সাহেব পদত্যাগ করলেন। তারপর তিনি নিজে ভোট করতে গেলেন। আমরা তাকে বহিষ্কার করলাম। এখন তাকে জয়লাভ করানোর জন্য সমস্ত নীতিনৈতিকতা বাদ দিয়ে আপনারা আপনাদের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দুদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না, গুম। অর্থাৎ সাত্তারকে জেতানোর জন্য এখন সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। সুতরাং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
এ সময় রাজশাহীর জনসভায় দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের মানুষ সব জানে। কে কখন কোথায় পালায়, কেমন করে পালায় সবাই জানে।’
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, নবী উল্লাহ নীব, ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নীরব, মীর নেওয়াজ আলী, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।
