তিনদিনে আদানির সম্পদ কমেছে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

আদানি গ্রুপের শেয়ারদরে পতন অব্যাহত। টানা তৃতীয় দিনে এসে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির বাজার মূল্য কমেছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলার। খবর রয়টার্স। 

হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে চাপে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও তার প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপ। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তালিকায় গৌতম আদানি তিন থেকে আটে নেমে এসেছেন। হিনডেনবার্গ রিসার্চের দাবিকে উপেক্ষা করে সোমবার জানান, স্থানীয় আইন ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করেছেন তিনি। চার শতাধিক পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ তোলেন, এটা ভারতের ওপর সুপরিকল্পিত হামলা।

সোমবার আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারের শেয়ারদর কমেছে ৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত। পুঁজিবাজারে আকস্মিক এ শেয়ারদরে পতন ৬০ বছর বয়সী আদানির মাথা ব্যথার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তিন বছরে স্কুল-ড্রপআউট এ বিলিয়নেয়ারের কিছু গ্রুপ স্টকের দর ১ হাজার ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে অল্প সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন তিনি। সোমবার ফোর্বসের তালিকায় আটে নেমে এসেছেন আদানি।

গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৪ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্কভিত্তিক শর্ট-সেলার হিনডেনবার্গ। এতে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির’ অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া আদানি গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ও তাদের ট্যাক্স হেভেন ব্যবহার নিয়েও তথ্য প্রকাশ করা হয়।

রোববার বিকালে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ হিনডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারত ও তার প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার অভিযোগ আনে। ৪১৩ পৃষ্ঠার ওই বিবৃতিতে আদানি জানায়, তারা স্থানীয় আইন মেনে সবকিছু করেছে। এছাড়া আইন অনুযায়ী যেসব তথ্য প্রকাশ করার কথা তা করেছে।

আদানির বিবৃতির জবাবে সোমবার হিনডেনবার্গ জানায়, আদানির বিবৃতি মোটামুটি তাদের (হিনডেনবার্গ) দেয়া তথ্যই নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আদানি মূল প্রশ্নগুলোর জবাব এড়িয়ে গেছে বলেও মনে করছে হিনডেনবার্গ।

হিনডেনবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, কর স্বর্গ (ট্যাক্স হ্যাভেন) ব্যবহারের পাশাপাশি শেয়ারের দাম বাড়াতে নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে আদানির কোম্পানি। বাজারে শেয়ারের দামের মূল্যায়ন বেশি করে দেখানো হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কোম্পানিতে প্রমোটর বা মালিকের কারসাজির ফলেই স্টকের দাম বাজারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। আদানিরা অন্য লোকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর শেয়ার কিনে নিজের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে, যা এককথায় বিনিয়োগকারীদের চোখে ধুলো দেয়ারই নামান্তর। এ ধরনের জালিয়াতির তালিকায় নাম রয়েছে আদানির পাঁচ কোম্পানির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন