প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কাছাকাছি একই ধরনের। তাই অনেকেই প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাককে মিলিয়ে ফেলেন। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হলে হূদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কিন্তু শেষে কোনো রোগ খুঁজে পাওয়া যায় না। সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। গবেষণা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০ জনে একজন প্রতি বছর প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়। আর তাদের বয়স দেখা যায় ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের একটি গবেষণা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্তদের মধ্যে নারী ৩ দশমিক ৮ শতাংশ আর পুরুষ ১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। দেশটির তথ্য বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়।
অ্যাংজাইটি অ্যান্ড ডিপ্রেশন অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার ২০২০ সালের তথ্য বলছে, দেশটিতে মোট ৬০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্যানিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত।
২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বলছে, সারা বিশ্বে ৩০ কোটি ১০ লাখ মানুষ অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতায় ভুগছিল। তার মধ্যে ৫ কোটি ৮০ লাখই ছিল শিশু ও কিশোর। তাদেরই পরে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।