হাইভের সার্ভার হ্যাক করার দাবি এফবিআইয়ের

র‍্যানসমওয়্যার গ্যাং হাইভের সার্ভার গোপনে হ্যাক করে এবং তা বন্ধ করে দেয়ার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। খবর রয়টার্স।

হ্যাক করার মাধ্যমে হাইভের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৩০০-এর বেশি ভুক্তভোগীকে ১৩ কোটি ডলারের মুক্তিপণ দাবির হাত থেকে বাঁচানোর কথাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 

এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড, এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো বলেন, সরকার পক্ষের হ্যাকাররা হাইভের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে দলটিকে নজরদারির আওতায় এনেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ডিজিটাল কি চুরি করেছে। যেগুলো ব্যবহার করে ভুক্তভোগী সংস্থাগুলোর তথ্য হাতিয়ে নেয়া হতো।

হাইভের সার্ভার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার মাধ্যমে দেশটির সরকার ভুক্তভোগীদের অগ্রিম সতর্কবার্তা দিয়েছে। যাতে করে হাইভের মুক্তিপণ দাবির আগেই ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মোনাকো বলেন, ‘‌‌আইনি ভাষায় এর অর্থ আমরা হ্যাকারদের ওপর হ্যাকিং চালিয়েছি। আমরা হাইভের ছক উল্টে দিয়েছি। ২৬ জানুয়ারি সরকারি হ্যাকিং কার্যক্রমের তথ্য প্রথম প্রকাশ্যে আসে। সে সময় অনলাইনে হাইভের ওয়েবসাইটে একটি বার্তা দেখানো হয়।’ বার্তায় বলা হয়, হাইভ র‍্যানসমওয়্যারের বিরুদ্ধে সমন্বিত আইনি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সাইটটি জব্দ করেছে এফবিআই।

যুক্তরাষ্ট্রের জার্মান ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ ও ডাচ্‌ ন্যাশনাল হাই-টেক ক্রাইম ইউনিটও হাইভের সার্ভার জব্দ করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জার্মান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কমিশনার উদো ভোগেল ও তদন্তে সহায়তাকারী ব্যাডেন-উয়ের্টেমবার্গ রাজ্যের আইনজীবীরা জানান, পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে জাতীয় সীমানা ও মহাদেশ ছাড়িয়ে নিবিড় সহযোগিতার বিষয়টি ফুটে ওঠে। আর এটিই কার্যকরভাবে গুরুতর সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল সূত্র।

হাইভের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি। হ্যাকার গ্রুপটি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে সেটিও নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষিত অন্যান্য র‍্যানসমওয়্যারের ঘটনার চেয়ে হাইভ দখলের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। মূলত ২০২১ সালে মার্কিন তেল কোম্পানি কলোনিয়াল পাইপলাইনে সাইবার আক্রমণের ঘটনাই এর সঙ্গে জড়িত। সে ঘটনায় হ্যাকারদের আগেই মুক্তিপণ দেয়ার পর ২৩ লাখ ডলারের ক্রিপ্টোমুদ্রা জব্দ করেছে বিচার বিভাগ।

কিন্তু এবারের ঘটনায় কোনো কিছুই জব্দ করা যায়নি। কারণ মুক্তিপণ দাবির আগেই তদন্তকারীরা হাইভের সার্ভারে হস্তক্ষেপ করেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে শুরু করা সরকারি এ গোপন অভিযানের বিষয়ে হ্যাকার দলটি এখন অজ্ঞ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন