অফশোর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে উপসাগরীয় রাজপরিবারের ১০০ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

জার্সি, গানর্সি, পানামা বা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের মতো অফশোর এলাকা থেকে যুক্তরাজ্যে ১০০ কোটি ইউরোর বেশি সম্পত্তির মালিক হয়েছে উপসাগরীয় রাজপরিবারগুলো। এর সঙ্গে যুক্ত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারসহ অন্যান্য দেশের রাজকীয় সদস্যরা। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

হোটেল, ম্যানশন ও কান্ট্রি এস্টেটসহ প্রায় ২০০টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি। সরকারি নিবন্ধন বিশ্লেষণ করে মালিকদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক শেখ মনসুর, সৌদি শাসক পরিবারের সদস্য ও কাতার নিয়ন্ত্রণকারী আল-থানি গোষ্ঠী।

নিবন্ধন নথি অনুসারে, সবচেয়ে ব্যয়বহুল একটি সম্পত্তি কেনা হয়েছে শেখ মনসুরের স্ত্রী শেখা মানাল বিনতে মোহাম্মদ আল-মাকতুমের নামে। খরচ হয়েছে ১৫ কোটি পাউন্ড।

আরব আমিরাতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ মনসুর আরও ১৭টি জমির মালিক। এর মধ্যে রয়েছে লন্ডনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ও ম্যানচেস্টারের জমি।

১৮১৮ সালে নির্মিত লন্ডনের রিজেন্টস পার্ক এলাকায় অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে সৌদি রাজপরিবার প্রচুর সম্পত্তি কিনেছে। জাতিসংঘ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ বিন খালিদ আল সৌদ ২০২০ সালে সাড়ে ১৮ কোটি পাউন্ডে সম্পত্তি কেনেন।

মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই তুর্কি বিন সালমান আল সৌদ নাইন এলমসের পিন্টো টাওয়ারের ফ্ল্যাটসহ লন্ডনে ১৮টি সম্পত্তির মালিক।

কাতারের শেখ থানি বিন আবদুল্লাহ আল-থানি ১২টি অফশোর কোম্পানির মালিক। যার সবকটিই ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত। এই সংস্থাগুলো ১৬টি সম্পত্তির মালিক, যার একটি সাত তলা অফিস ব্লক ২০১৮ সালে ১২ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডে কেনা হয়েছিল।

এই রাজবংশের আরেক সদস্য মোহাম্মদ খলিফা আল-থানি ২০১৯ সালে ১৩ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডে বাকিংহাম প্যালেসের কাছে সম্পত্তি কেনে।

গার্ডিয়ান আগের এক বিশ্লেষণ উল্লেখ করে জানায়, যুক্তরাজ্যে প্রায় এক হাজার কোটি পাউন্ডের সম্পত্তির মালিক কাতারের অভিজাতরা।

জর্ডান ও বাহরাইনের শাসক পরিবারের সদস্যরাও একই প্রক্রিয়ায় দেশটিতে সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিবিসি জানায়,  অফশোর বা বিদেশী বিনিয়োগ এখন একটি ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে আয়কর কর্তৃপক্ষের আওতার বাইরে বিশ্বজুড়ে হাজার-হাজার কোটি ডলার গচ্ছিত রাখা হয়েছে।

বারমুদা, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ বা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, অথবা ইংল্যান্ডের আইল অব ম্যান, গার্নসি, বা জার্সি এ ক্ষেত্রে স্বর্গরাজ্য। সেখানে অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে কড়া গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

বস্টন কনসালটিং গ্রুপের সূত্র মতে, অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে সেটি পরিমাণ প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন