৯ দিনের মাঝে ৮ দিনই বায়ুদূষণে প্রথম ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: ডিএনসিসি

দূষিত শহরের তালিকায় আজ শনিবারও (২৮ জানুয়ারি) প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ২১৩। এর আগে গত আট দিনের (শুক্রবার থেকে শুক্রবার) সাত দিনই দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ ছিল ঢাকা। শুধু ২২ জানুয়ারি (রোববার) ছিল দ্বিতীয় স্থানে। 

রাজধানীতে কেবল রাস্তায় পানি ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করছে সিটি করপোরেশন। তবে ধুলোর আস্তরণ জমে থাকা গাছের পাতায় পানি ছেটাতে দেখা যাচ্ছে না। 

আজ অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় ঢাকার পরেই আছে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় স্থানে ভারতের মুম্বাই (১৯০), চতুর্থ স্থানে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর (১৮৭), পঞ্চম স্থানে আছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৭০)। এর পরের স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৬৬)।

দূষিত বাতাসের শহরের একটি তালিকা নিয়মিত প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে সংশ্লিষ্ট শহরের পরিবেশ বসবাসের জন্য খারাপ এবং ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাতাসের মান নির্ণয়ের জন্য একিউআই একটি সূচক। সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত ও এজন্য মানব স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বা তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে কিনা তা জানতে সূচকটি ব্যবহার করে থাকে।

বাংলাদেশের সামগ্রিক একিউআই পাঁচটি দূষণকারী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে কণা পদার্থ (পিএম১০ ও পিএম২.৫), কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণ সমস্যায় জর্জরিত। ঢাকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন স্থাপনার ধুলা। সাধারণত জুনের মাঝামাঝিতে বর্ষাকাল শুরু হলে ঢাকার বাতাস সতেজ হতে শুরু করে। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বায়ু নির্মল থাকে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। দূষিত বাতাসে দীর্ঘদিন শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় বলে বিভিন্ন গবেষণায় স্বীকৃত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন