নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনে পণ্য রফতানি করবে এএসএমএল

বণিক বার্তা ডেস্ক

সেমিকন্ডাক্টর ছবি: এএসএমএল

২০২২ সালের মতো এখনো চীনে রফতানি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের অন্যতম সেমিকন্ডাক্টর ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার এএসএমএল হোল্ডিং। বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীনে রফতানি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে এ কথা জানল প্রতিষ্ঠানটি। খবর গিজমোচায়না।

চলতি বছর চীনের পণ্য রফতানি বা বিক্রির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২২০ কোটি ইউরো আয়ের আশা প্রকাশ করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তা নতুন করে চীনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে না। কেননা এটি বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

অ্যাডভান্সড সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে যে এক্সট্রিম আল্ট্রাভায়োলেট লিথোগ্রাফি (ইইউভি) মেশিনের প্রয়োজন সেটি তৈরিতে এএসএমএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা বিশ্বে আর কেউ এ মেশিন তৈরিতে সক্ষম নয়। তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি), স্যামসাং, ইন্টেল থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠান লিথোগ্রাফি মেশিনের জন্য এএসএমএলের ওপর নির্ভরশীল।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এএসএমএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার ওয়েন্নিক আশা প্রকাশ করে বলেন, যেসব ব্যবসা সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নির্ভরশীল তাদের যেন ক্ষতি না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে ডাচ্ সরকার যেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তিনি আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন ও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য বিধিনিষেধ শিল্পে আরো জটিল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ফলে পণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে এবং চিপ সরবরাহ আরো কমতে পারে।

সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ এ দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত ডিভাইসগুলোর একটি। কেননা সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এর ব্যবহার রয়েছে, যা আধুনিক জীবনযাপনে সহায়ক। যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, স্মার্ট জীবনযাপন, সামরিক, চিকিৎসা, কম্পিউটিং, পরিবহন, অবকাঠামো এবং আরো অনেক কিছুতে সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন