বরিশালে ১২৩২ টাকার এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বরিশাল

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চলতি বছরের শুরুতে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বরিশালে মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দাম। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে হাজার ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি সিলিন্ডার ১৬৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বরিশালে লার্ভজ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে জেলায় ৮০ হাজার থেকে লাখ সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে। ১০-১২টি কোম্পানি বরিশালে এলপিজি সিলিল্ডার বিক্রি করে। কিন্তু হঠাৎ করে -৭টি কোম্পানির এলপিজি বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। সুযোগে অন্য কোম্পানিগুলো বেশি দামে জ্বালানিটি বিক্রি করছে। তবে তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের কারণে আমদানি করতে না পারায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন, সরকার হাজার ২৩২ টাকা সিলিন্ডারপ্রতি দাম নির্ধারণ করলেও দেশে এলপিজির তীব্র সংকট রয়েছে। মোংলা বন্দরেই গেট প্রাইজ হাজার ২৯০ টাকা। সে গ্যাস পরিবহন ভাড়াসহ বরিশালে আনতে সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে হাজার ৩৫০ টাকা। পাইকারিতে হাজার ৩৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন হাজার ৪০০ টাকায়। এদিকে সরকার দাম কমালেও সে দামে কিনতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

বরিশাল নগরীর জিয়ানগর এলাকার উম্মে রুম্মান নামের এক গৃহিণী বলেন, ১২ দিন আগে বাসার গ্যাস (এলপিজি) শেষ হয়ে গেছে। এখন গ্যাস কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলাররা গ্যাস দিচ্ছে না, তাই গ্যাসের সরবরাহ নেই। পুরো এলাকা ঘুরে ইউনি গ্যাস নামের একটি কোম্পানির সিলিন্ডার পাওয়া। কিন্তু একটি সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে হাজার ৪০০ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতা সজল হাওলাদার বলেন, বাজারে সরবরাহ না থাকায় এলপিজি গ্যাস সংকট চলছে। এখন দু-একটি কোম্পানির গ্যাস সরবরাহ চালু আছে। তারা দাম একটু বেশি নিচ্ছে। তাই আমরাও বেশি দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

বরিশালের সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা কল্যাণ শাখা/ ব্যবসা বাণিজ্য শাখা) রয়া ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন