ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সানিয়া মির্জা। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই তিনি শেষবারের মতো গ্র্যান্ডস্লামের ম্যাচ খেলবেন। সেই সমাপ্তি ঘটল আজ। মেলবোর্ন পার্কে মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে রোহন বোপান্নাকে নিয়ে তিনি হেরে গেছেন ব্রাজিলের জুটি লুইসা স্তেফানি ও রাফায়েল ম্যাতোসের কাছে। বিদায়বেলায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সানিয়া। তবে এটিকে কষ্টের কান্না নয়, আনন্দাশ্রুই বললেন তিনি।
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই পেশাদার টেনিসে যাত্রা সানিয়ার। সেবার তৃতীয় রাউন্ডে আমেরিকান সুপারস্টার সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। সেই শুরু। এরপর দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন। পৌঁছে যান খ্যাতির চূড়ায়। ৪৩টি শিরোপাজয়ী সানিয়াই টেনিসে ভারতের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। দ্বৈতে জিতেছেন মোট ছয়টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা। গ্র্যান্ডস্লামে ১৮ বছরের যাত্রার সমাপ্তি হলো ভারতের এই টেনিস কুইনের। আগামী মাসে দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলে তিনি পুরোপুরি অবসরে যাবেন।
বিদায়বেলায় বলেছেন, ‘আমি আরো কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার পেশাদার ক্যারিয়ার যেখানে শুরু করেছিলাম (কথা শেষ করার আগেই কেঁদে ফেলেন সানিয়া...)। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এখানে, তৃতীয় রাউন্ডে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে খেলেছিলাম। সেই সময় আমার বয়স ছিল ১৮। ওটা ১৮ বছর আগে। সেই মেলবোর্নে বারবার ফিরে আসা, কয়েকটা ট্রফি জেতা এবং আপনাদের সামনে দুর্দান্ত ফাইনাল খেলা, অসাধারণ অনুভুতি। ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারতো না। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ছোট্ট এক টুইটে সানিয়ার প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছে, ‘সানিয়া, আমরা তোমাকে ভালোবাসি।’
ছবি: এপি
এদিকে, প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের আরেকটি সুযোগ পেলেন গ্রিসের স্তেফানো সিসিপাস। আজ রাশিয়ার কারেন খাচানভকে হারিয়ে পুরুষ এককের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। তৃতীয় বাছাই সিসিপাস জিতেছেন ৭-৬ (৭/২), ৬-৪, ৬-৭ (৬/৮), ৬-৩ গেমে।
এটি সিসিপাসের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল। এর আগে ২০২১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরেছিলেন সিসিপাস। সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ এসেছে গ্রিক তারকার সামনে, যদি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জিততে পারেন জোকোভিচ।
২০১৯ সালে চতুর্থ রাউন্ডে রজার ফেদেরারকে হারিয়ে মেলবোর্নে আলো কাড়েন সিসিপাস।
সেবার সেমিফাইনালে নাদালের কাছে হেরে যান তিনি। এছাড়া ২০২১ ও ২০২২ সালে পরপর দুটি আসরে
তাকে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে দেন দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দানিল মেদভেদেভ। এবার তার
সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আরেক শক্তিমান খেলোয়াড় খাচানভ, যদিও আটকাতে পারেননি সিসিপাসকে।