স্থানীয় বাজার থেকেই বিলাসবহুল পণ্য ক্রয়ে স্বচ্ছন্দ চীনা ক্রেতারা

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রায় তিন বছর পর চলতি মাসে সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে চীন। লম্বা সময় অনেকটা গৃহবন্দি থাকার পর এবার ভ্রমণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন চীনারা। নতুন চাঞ্চল্যতা বিশ্বের বিলাসবহুল খুচরা বাজার চাহিদাকে পুনরুজ্জীবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় বাজার থেকেই বিলাসবহুল পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চীনা ক্রেতারা। খবর রয়টার্স।

বুধবার চীনের দ্বীপ প্রদেশ হাইনানের সানিয়া শহরের হাজার হাজার ভ্রমণার্থী সিডিএফ মলে ভিড় করে। কারণ এখানে চন্দ্র নববর্ষের ছুটি উপলক্ষে হ্যান্ডব্যাগ কসমেটিকসের ওপর শুল্কমুক্ত কেনাকাটার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

লন্ডনের হ্যারডসে কেনাকাটা করতেন ইউ শুনঝিয়াও। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘এখান থেকে যুক্তরাজ্য অনেক দূরে, আর টিকিট কেনাটাও কঠিন। কিন্তু সানিয়াতে, আমরা যখনই চাই কেনাকাটা করতে আসতে পারি এবং চলে যেতে পারি।

কভিড-১৯ প্রতিরোধ নীতি অবসানের ঘোষণার পরের দিন জনপ্রিয় টিকিট-বুকিং সাইট ট্রিপডটকমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট কেনার পরিমাণ বেড়ে যায় ২০০ শতাংশ। বিলাসবহুল ব্র্যান্ড আর খুচরা বিক্রেতারা প্রত্যাশা করছেন চীনের বাসিন্দাদের ভ্রমণ প্রবণতা বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে ২০২৩ সালে বিক্রিতে। ঠিক যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে মহামারী-পরবর্তী উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দিয়েছেন যে চীনা ক্রেতাদের বিলাসবহুল পণ্য ক্রয়বাবদ খরচের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশের অভ্যন্তরেই থাকবে। কারণ চীনের ক্রেতারা বিদেশে ভ্রমণ করলেও মূলত স্থানীয় বাজার থেকেই বিলাসবহুল পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সাংহাইভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা রোল্যান্ড বার্জারের জোনাথন ইয়ান রয়টার্সকে বলেন,  ‘তিন বছর সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে চীনা ক্রেতারা চীনের অভ্যন্তরেই বিদেশী বিলাসবহুল পণ্য কিনতে আরো অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন