দীর্ঘ লোকসানের পর লাভে ফিরেছে টাটা

বণিক বার্তা ডেস্ক

টানা সাত প্রান্তিকে অর্থাৎ ২১ মাস লোকসানের পর অবশেষে লাভের মুখ দেখল ভারতীয় শীর্ষ গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরস। বুধবার কোম্পানিটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মোট লাভের পরিমাণ প্রকাশ করেছে। সময়ে কোম্পানিটির লাভ হয়েছে হাজার ৪৩ কোটি রুপি। মূলত ব্যাপক আকারে পণ্য অর্ডার, ভালো মানের সেমিকন্ডাক্টর যংন্ত্রাশ সরবরাহ, স্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার এবং যানবাহনের মিক্সিং পণ্যে ভালো অবস্থানের কারণে টাটার আয় বেড়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বিষয়ে টাটা মোটরস গ্রুপের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) পি বালাজি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা থাকার সত্ত্বেও বাজার পরিস্থিতি এবং চাহিদার বিষয় মাথায় রেখে আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন করছি এবং আশাবাদী। দ্রুত আমাদের মোটর যন্ত্রাংশ সরবরাহ ধারাবাহিকভাবে আরো বেশি বাড়বে। বিশেষ করে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের (জেএলআর) যন্ত্রাংশে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

টাটা মোটরসের মোটামুটি ৬৭ শতাংশ রাজস্ব আসে জেএলআর থেকে।  কোম্পানির মোট আয় আগের বছরের তুলনায় বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৯ হাজার ৬১৮ কোটি রুপি। আগের বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এবার মোট খরচ ১৭ দশমিক শতাংশ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৪১৫ কোটি রুপিতে।

পি বালাজি বলেন, সর্বোচ্চ পাইকারি বিক্রি, যানবাহনের মিক্সিং যন্ত্রাংশের শক্ত অবস্থান, সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ পরিস্থিতিতে উন্নয়ন এবং দামের কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে শেষে এসে জাগুয়ারে লাভ করেছে টাটা। গাড়িটির অর্ডার ব্যাপক বেড়ে লাখ ১৫ হাজার ইউনিটের শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে। এর আগের প্রান্তিক অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে অন্তত ১০ হাজার ইউনিট বেশি।

রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের গবেষণাপ্রধান মিতুল শাহ বলেন, জেএলআরের লাখ ১৫ হাজার ইউনিটের শক্তিশালী অর্ডারের প্রভাব ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গিয়ে ব্যাপক আকারে পড়বে। লাভের পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের চাহিদাও বাড়বে।

দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই টাটা মোটরস তাদের উৎপাদনকাজ দ্রুত সময়ে শুরু করে দেয়। বাণিজ্যিক যানবাহন (সিভি) বিভাগে সুদ, কর, মূল্যহ্রাস ঋণ পরিশোধের আগেই কোম্পানিটি তাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন