আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন শেষ

নদীর অধিকার নিশ্চিত করতে তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া একটি প্রশংনীয় উদ্যোগ। নীতি কর্মের রূপান্তর করার জন্য আমাদের এখন শনাক্ত করতে হবে কীভাবে নদী প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যায়ন করা যায়। সরকার বিবিএসের সহায়তায় প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব করার উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে নদীও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে। এটি দেশের জিডিপিতে প্রতিফলিত হবে প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যায়নের ওপর বার্ষিক প্রকাশনা থাকবে। পানি এর ব্যবস্থাপনার মধ্যে যোগসূত্রকে সর্বত্র জোর দিতে হবে। যেহেতু আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে রয়েছি এবং দেশের আরো উন্নয়ন ঘটছে, তাই পানি শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠবে।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে জীবন-জীবিকার জন্য পানি এবং নদী: যুবদের ভূমিকা প্রতিপাদ্য নিয়ে সিলেট জেলায় ২৩-২৫ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী অষ্টম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদী এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়। সম্মেলনের প্রথম দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলন নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং সরকারি প্রতিনিধি বিশেষজ্ঞদের একত্র করে পানি নদী সম্পর্কিত সমস্যার ক্ষেত্রে যুব সংহতকরণের ওপর আলোকপাত করে। সম্মেলনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পানি নদী শাসনে অবদান রাখতে পারেএমন বেশকিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় উঠে আসে। সম্মেলনের অগ্রগতির পথ হিসেবে নদীর অধিকার নিশ্চিত করতে তরুণদের আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে বলে জোর দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক . ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বছর যেহেতু আমরা নদীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তরুণদের সম্পৃক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি, নীতিনির্ধারকদেরও ভাবতে হবে কীভাবে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি নদী পরিবেশের সমস্যাগুলোর পক্ষে সমর্থন করার জন্য সংগঠিত করা যায়।

অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নদীর অবয়ব নির্ভর করে পানি পলল প্রবাহের ওপর। এসবের পরিবর্তন হলে স্বাভাবিকভাবেই নদীর ভৌগোলিক পরিবর্তন আসে যার কারণে নদীভাঙন দেখা দেয়। নদীভাঙনের ফলে মানুষের বসতি ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে নদী শাসনের কথা আসে, আর নদী শাসন করতে গেলেই নদীর স্বাভাবিক অবস্থা প্রবাহগত চরিত্রের পরিবর্তন আসে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে টেকসই সমাধানের পথ বের করতে হবে।

পোস্টডেম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন রিসার্চের বিজ্ঞানী মফিজুর রহমান, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এসএম মনজুরুল হান্নান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জহির বিন আলম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, রিভারাইন পিপলের সাধারণ সম্পাদক শেখ রোকন, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সাংহাই নরমাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর আফ্রিকান স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ঝাং জিন কলকাতায় অবস্থিত লিভিং ওয়াটারস মিউজিয়ামের (এলডব্লিউএম) আর্ট অ্যান্ড আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর সুকৃত সেন বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন