২০২২ সাল

ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৮.৫% কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়া একটি কারখানায় খালাসের অপেক্ষায় পাম ফলবোঝাই সারি সারি ট্রাক ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি গত বছর দশমিক শতাংশ কমেছে। বারবার সরকারি পলিসিতে পরিবর্তন নিম্নমুখী উৎপাদন রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এদিকে চলতি বছরও উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (গাপকি)

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। দেশটি গত বছর সব মিলিয়ে কোটি লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করেছে। ২০২১ সালে রফতানি করা হয়েছিল কোটি ৩৭ লাখ টন। সে হিসাবে রফতানি ২৯ লাখ টন কমেছে।

গত বছর দেশটির স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। বাজারে লাগাম টেনে ধরতে সরকার পাম অয়েল রফতানি পলিসিতে নানামুখী পরিবর্তন আনে। এমনকি এপ্রিলের শেষ দিকে তিন সপ্তাহের জন্য রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ২০২২ সালে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন কমলেও লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে ব্যবহার। বিশেষ করে জৈব জ্বালানি উৎপাদনে পণ্যটির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। গাপকির চেয়ারম্যান জোকো প্রিয়নো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বিষয়টিও রফতানি কমার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।

তিনি আরো জানান, গত বছর করোনা মহামারীর প্রভাব অনেকটাই কমে যাওয়ায় জ্বালানির ব্যবহার বাড়ে। কিন্তু অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকায় ওই সময় পাম অয়েল থেকে বিপুল পরিমাণে জৈব জ্বালানি উৎপাদন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইন্দোনেশিয়ার শিল্প-কারখানায় ব্যবহূত জৈব জ্বালানিতে ৩০ শতাংশ পাম অয়েল মিশ্রণ বাধ্যতামূলক। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা বি৩৫ নামে পরিচিত।

গত বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে কোটি ৬৭ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়। ২০২১ সালের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমেছে। পাম কারনেল অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ টনে। গত বছরের শেষ দিকে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ ছিল সাড়ে ৩৬ লাখ টন।

জোকো প্রিয়নো বলেন, টানা চার বছর ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন মন্দা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে ব্যবহারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় আছে। আমরা মনে করছি, ২০২৩ সালে উৎপাদন আবারো কমতে পারে। কারণ ইন্দোনেশিয়ায় সারের দাম অনেক বেশি। অতিরিক্ত ব্যয় এড়াতে কৃষকরা স্বল্প পরিমাণ সার ব্যবহার করছেন। কারণেই উৎপাদন কমতে পারে।

ইন্দোনেশিয়া চলতি বছরের জুনে পাম অয়েলের বাজার আদর্শ দাম চালুর পরিকল্পনা করছে। বাজার আদর্শ দাম হলো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসের একটি নির্দিষ্ট অংশে প্রতি ইউনিট পণ্যের নির্ধারিত দাম। যেসব দেশ বা উৎপাদক সংস্থা বিভিন্ন কমোডিটি এক্সচেঞ্জে একটি নির্দিষ্ট পণ্য অনেক বেশি পরিমাণে রফতানি করে, মূলত তারাই দাম নির্ধারণ করে। দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি হয় পর্যায়ক্রমে। সাধারণত প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নির্দেশনা মেনে কাজটি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন