বিজেআরআইয়ের কর্মশালায় বক্তারা

পাটের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভালো পাটের জাত যদি উদ্ভাবন করা না যায়, তাহলে গবেষণার কোনো মূল্য নেই। কারণ কৃষকদের হাতে তাহলে আমরা কী তুলে দেব? পাটের নতুন জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের কাজ করে যেতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি হস্তান্তরবিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান . শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, পাট আখ দুটি আমাদের দেশের সম্পদ। কিন্তু বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলতে পারিনি। আখ এক সময় গ্রামীণ একটি শিল্প ছিল। প্রযুক্তি, বৈশ্বিক পরিবর্তন ব্যবস্থাপনার অভাবে এই দুই খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।

বিজেআরআইয়ের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো ল্যাবে এখন টাকা দিলে তারা জীবনরহস্য উন্মোচন করে দেয়। এটা কোনো সফলতা নয়। গল্প আমরা আর শুনতে চাই না। ভালো জাত আবিষ্কারে বিজ্ঞানীদের কাজ করে যেতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে পাট নিয়ে একটা রোডম্যাপ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়ায় এবার রেকর্ড সরিষা উৎপাদন হয়েছে। প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পাটেও গুরুত্ব দেয়া হলে উৎপাদন সম্প্রসারণ হবে। এটা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।

বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক . মো. আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক . জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বিজেআরআই কৃষি গবেষণা উইং থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে উদ্ভাবিত বিজেআরআই মেস্তা , দেশী পাট বীজের নির্যাস দিয়ে পাটের হলুদ মাকড় দমন, উন্নত শস্য বিন্যাস বোরো-পাট-রোপা আমন; বোরো/পাট-রোপা আমন; বোরো-রোপা পাট-রোপা আমন, বিজেআরআই তোষা পাট- (রবি-)-এর বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি এবং স্পেন্টটি (ব্যবহূত চা পাতি) দ্বারা পাটের হলুদ মাকড় দমন প্রযুক্তি কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন