নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে গতকাল ‘দেশপ্রেমের অমলিন চেতনায় নেতাজি ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে পরাধীন ভারতবর্ষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আপামর জনসাধারণকে মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। মহান এ দুই নেতার সংগ্রামের অজানা নানা অধ্যায় তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ধরনের আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষে ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহ্যিক পরম্পরায় দুই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রভাব’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নেতাজি বিশেষজ্ঞ ড. জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নেতাজি-নজরুল-রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু অখণ্ড বাঙালির গৌরব। সমকালীন জাতপাতের সংকট দূর করতে হলে চিরস্মরণীয় এ দুই বাঙালির আদর্শের যুগপৎ চর্চা অত্যন্ত জরুরি। আর এ ধরনের চর্চার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক পদ্মা নদীতে নির্মিত সেতুর মতোই সুদৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আহ্বায়কের বক্তব্য রাখেন পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া। সবশেষে অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং তার দল সুরের ধারার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
