প্লাস্টিক পণ্য মেলা শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

প্লাস্টিক ক্রোকারিজ পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্লাস্টিক ক্রোকারিজ পণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়।

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, ডলার সংকটের কারণে প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারছি না। আর কিছুদিন অবস্থা চললে প্লাস্টিক পণ্যের দাম আরো বাড়বে। পণ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে ১৫তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক পণ্য মেলার তারিখ ঘোষণা করা হয়। আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিপিজিএমইএ জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবারো আয়োজন করা হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলা। চার দিনব্যাপী মেলা চলবে আগামী ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে ২০টি দেশের ৪৬০টির পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৯১টি বুথ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা উদ্যোক্তা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। ২৫ ফেব্রুয়ারি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এবারে মেলায় অংশগ্রহণকারীর হার আগের বছরের চেয়ে ৬২ শতাংশ  বেড়েছে। মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে। মেলায় সরাসরি পণ্য অর্ডারের পাশাপাশি মিলিয়ন ডলারের মেশিনারিজ পণ্যের ক্রয়াদেশ পাওয়ার প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।

বিপিজিএমইএ জানায়, বর্তমানে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। খাতে আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে ৫৭০ বিলিয়ন ডলারের। যেখানে বাংলাদেশের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক শতাংশ। বাংলাদেশ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্লাস্টিক রফতানিতে সরকার ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়ায় রফতানি ক্রমাগত বাড়ছে। খাতে বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ১২ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন বিপণন হয়ে থাকে। বর্তমানে এসব পণ্যের রফতানি প্রায় দশমিক বিলিয়ন ডলারের।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কেএম ইকবাল হোসেন কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ ফেরদৌস ওয়াহেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন