আলোকপাত

উচ্চমূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফাপ্রীতি রোধ প্রয়োজন

ড. আর এম দেবনাথ

জায়গা খালি থাকে না বলে একটা কথা গ্রামাঞ্চলে চালু আছে। এর অর্থ হচ্ছে, শূন্যস্থান কেউ না কেউ পূরণ করেই। তা চিরকাল শূন্য থাকে না। এ কথাটা আজ বারবার মনে হচ্ছে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদন পাঠ করে। এতে দেখলাম, আমাদের দেশের বামপন্থীরা একসময় যে কথা জোর দিয়ে বলত, অক্সফাম এখন তা-ই বলছে। দেশে ও বিদেশে বামপন্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অসাম্যের বিরুদ্ধে ভীষণ উচ্চকণ্ঠ ছিল একসময়। সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তরকাল, বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত। একটি হচ্ছে ধনবাদী পশ্চিমা বিশ্ব, আরেকটি হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব। যারা সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের লোক ছিল তাদের সমর্থক ছিল। তারা গরিবের কথা বলত; ধন-সম্পদ কুক্ষিগত হওয়ার কথা বলত; গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্টের কথা বলত; ভাত-কাপড়, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সর্বজনীন অধিকারের কথা বলত। ধনীদের ওপর অধিকতর করারোপের কথা বলত। বলত বিশ্বশান্তি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা; শ্রমিক-মেহনতি মানুষের কথা। আজ বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট ব্লক নেই। সেই রাশিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, যুগোস্লাভিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে সমাজতন্ত্র নেই। নেই মানে তারা আগের অবস্থানে নেই। দেশের ভেতরেও বামপন্থী বা কমিউনিস্টরা ক্ষীয়মাণ একটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়। তাদের কণ্ঠে আজ আর জোরালো কোনো আওয়াজ নেই। তাহলে কী হবে? ধন-সম্পদ কুক্ষিগত হওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলার লোকের কি অভাব হয়েছে? ধনীদের ওপর অধিকতর করারোপের কথা বলার লোকের কি অভাব হয়েছে? দরিদ্রদের পক্ষে কাজ করার লোকের কি অভাব হয়েছে? আমার মনে হয় তা হয়নি। এর বড় একটি প্রমাণ অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল। তারা প্রতি বছরই বৈষম্য ও ধন-সম্পদ কুক্ষিগত হওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়; বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তথ্য প্রমাণসহ। এবারো এ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি তা করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি তারা ‘সারভাইভাল অব দ্য রিচেস্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঘটনাক্রমে দিনটি ছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিন। প্রতি বছর সুইজারল্যান্ডের ছোট ডাভোস শহরে বিশ্বের তাবৎ ধনীরা, শতশত কোটি ডলারের মালিকরা এ সময় তাদের সমস্যা ও বিশ্বের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য সেখানে বসে। সেই সম্মেলনে সারা বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্টরা যোগ দেন। বিশাল বৈশ্বিক ঘটনা। সেই সম্মেলন উপলক্ষ করে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ধনীদের ওপর চিন্তা-জাগানিয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে এমন সব তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে যা পাঠ করলে বোঝা যায় বাজার অর্থনীতি, বিশ্বায়নের ফসল কারা ঘরে তুলেছে। ধনীরা কী পাচ্ছে, আর গরিবরা কী পাচ্ছে। প্রতিযোগিতা, মেধা, শ্রম ইত্যাদির ওপর গড়ে ওঠা বাজার অর্থনীতির নামে আজ বিশ্ব কীভাবে তছনছ হচ্ছে তার এক মর্মস্পশী বর্ণনা আছে এ প্রতিবেদনে। বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তি, অতিধনাঢ্য ব্যক্তিদের সম্পদ ক্রমবর্ধমান। ২০২০ সাল ছিল বিশ্বের জন্য এক অস্বাভাবিক বছর। করোনা আক্রান্ত বিশ্ব। এ দুর্দিনের সময় এবং তার পরে সারা বিশ্বে যে সম্পদ তৈরি হয়েছে তার তিন ভাগের দুই ভাগের মালিক হয়েছে বিশ্বের ১ শতাংশ শীর্ষ ধনী। বাকি এক ভাগ সম্পদের মালিক হয়েছে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বে সম্পদ তৈরি হয়েছে ৪২ লাখ কোটি ডলার। এ পরিমাণ সম্পদের মধ্যে ১ শতাংশ মানুষ ভাগীদার হয়েছে ২৬ লাখ কোটি ডলারের। বাকি ১৬ লাখ কোটি ডলারের ভাগীদার হয়েছে ৯৯ শতাংশ মানুষ। এদিকে মিলিয়নেয়ারদের আয় দিয়ে ২৭০ কোটি ডলার বেড়েছে। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিপরীতে ১৭০ কোটি শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি (রিয়েল ওয়েজ) কমেছে মূল্যস্ফীতির কারণে। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির প্রধান দুটো কারণ হচ্ছে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। এ সময় ৯৫টি খাদ্য ও জ্বালানি কোম্পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা করেছে। তাদের মুনাফার পরিমাণ ৩০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বসেছিল? নিশ্চয় নয় নেতারাও কয়েক গুণ মুনাফা করেছে। ওয়ালমার্টের মালিক ওয়ালমার্ট পরিবার গত বছর মুনাফা করেছে ৮৫০ কোটি ডলার। ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পদ বেড়েছে ২০০ কোটি ডলার। উল্লেখযোগ্য একটি খবরে দেখা যাচ্ছে— বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্ক ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হারে কর দিয়েছে। আরো মারাত্মক খবর দিয়েছে অক্সফাম। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি হয়েছে বড় বড় করপোরেটদের কারণে। অক্সফামের মতে, স্বাস্থ্যসেবায় মানুষ যে ব্যয় করে তার চারগুণ করে ঋণের টাকা পরিশোধে। পরিশেষে অক্সফাম বলেছে, মুনাফালোভীদের মুনাফার শিকার হতে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ‘উইন্ডফল’ প্রফিটের ওপর ‘ট্যাক্স বসানো উচিত। ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর বসানোর তাগিদও দিয়েছে তারা।

এই যে চিত্র তুলে ধরা হলো তার থেকে বাংলাদেশ কি ব্যতিক্রম? অক্সফামের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বাংলাদেশের ধনীদের ওপর একটি জরিপ করত তাহলে আমার ধারণা একই চিত্র এখানেও ফুটে উঠত। বিশ্বের ধনীরা, অতিধনীরা কখনো তাদের সম্পদ অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়িয়েছে বা বাড়িয়ে চলেছে। সারা বিশ্ব এখন সংকটে। মূল্যস্ফীতি সর্বত্র। সরবরাহ সংকট দিকে দিকে। জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে সব ধরনের দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের কষ্টের কোনো সীমা নেই। লোক বেকার হচ্ছে। মানুষের আয় কমছে, শ্রমিকদের মজুরি কমছে। ব্রিটেনের একটা খবর থেকে জানা যাচ্ছে সেখানকার ভাড়াটিয়ারা বাড়ির ভাড়া দিতে না পেরে নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বিশ্ব দারুণ মন্দার শিকার। জিনিসপত্রের দাম বেশি অথচ আয় কম। ভোগ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ। ধনী হচ্ছে মানুষ। প্রথমে কভিড’ এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্ব আজ এক দারুণ অনিশ্চয়তায় ভুগছে। ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব উৎপাদন ২-৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে নেমে যেতে পারে। বলা বাহুল্য, এমন একটা অস্থির ও অনিশ্চিত দিনের মধ্যেই বিশ্বের ধনীরা, অতিধনীরা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে চলেছে। অথচ তারা কর দিতে চায় না। অতি নিম্নহারে কর দেয়। তারা খোঁজে ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’, যেখানে ট্যাক্স দিতে হয় না, শ্রমিকদের ঠকানো হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করাই তাদের অন্যতম পেশা ও নেশা। বলা দরকার, আমাদের দেশের করপোরেটগুলো এবং ধনী ও অতিধনীরা একই পথের পথিক। বাজার অর্থনীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রফতানি বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ইত্যাদি করার কথা বলে তারাও শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে। লোক ছাঁটাই করছে, পদোন্নতি বন্ধ রেখেছে। তারা সরকারের কাছ থেকে খালি সুবিধাই নেয়, সরকারকে, দেশবাসীকে কিছুই দেয় না। সস্তায় ঋণ নেয়া, ঋণের টাকা শোধ না করে খেলাপি হওয়া, কর রেয়াত নেয়া, ভ্যাট ও আয়কর না দেয়া থেকে শুরু করে সব সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করছে। অভিযোগ আছে, অনেকে দেশের বাইরে অর্থও পাচার করছে। এসবই হচ্ছে বাজার অর্থনীতির কথা বলে। অথচ বাজার অর্থনীতি দাঁড়ানোর কথা ছিল মেধা, শ্রম, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতার ওপর। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না বা হচ্ছে না। বাজেটের সময়, ঈদ উৎসবের সময়, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের সময় তারা অতিরিক্ত মুনাফা করে। এবার কভিড-এর সময় এবং এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ধনীরা, অতিধনীরা চুটিয়ে ব্যবসা করেছে, মুনাফা করেছে, করেছে ‘উইন্ডফল গেইন’। তাদের মুনাফামুখিনতার জন্য আমাদের মূল্যস্ফীতি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটছে বলা হলেও অতিধনীদের অতিমুনাফাপ্রীতিও যে বর্তমান মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ তার কথা কেউ বলছে না। কেউ জরিপ করে বলছেও না যে বাংলাদেশের অতিধনীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। অথচ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। এর কারণ হিসেবে চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা। সরকার লোকসান সামলাতে না পেরে জ্বালানি তেলের ওপর ভর্তুকি হ্রাস করেছে। পেট্রল, গ্যাস, কেরোসিন, ডিজেল ও অকটেনের দাম নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে গত বছরের শেষের দিকে। এর ফল আমরা পাচ্ছি। ডব্লিউইএফের স্থানীয় পার্টনার প্রতিষ্ঠান দেশে একটি জরিপ করেছে। দেখেছে ব্যবসায়ীরা বর্তমান সংকট সম্পর্কে কী বলছেন। এটা ধারণাভিত্তিক জরিপ। মোট ৭২টি কোম্পানির ওপর জরিপ করে প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রতিবেদন কাগজে দিয়েছে। এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা মোট পাঁচ ঝুঁকির কথা বলেছেন। যে পাঁচটি ঝুঁকির কথা তারা উল্লেখ করেছেন সেগুলো হচ্ছে: উচ্চমূল্যস্ফীতি, ঋণ সংকট, ব্যাপক মূল্যস্ফীতির ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয় ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। বলা বাহুল্য, প্রতিটি বিষয়ের ওপরই বিশদ আলোচনা করা যায়, করা দরকারও। আমি শুধু মূল্যস্ফীতির বিষয়টি নিয়েই বলতে চাই। উচ্চমূল্যস্ফীতি রোধকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দিন আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুনের ‘মনিটারি’ পলিসি (মুদ্রানীতি) ঘোষণা করেছে। দেখা যাচ্ছে, মুদ্রানীতিতে আসলে ‘মুদ্রার কথাই নেই’। মুদ্রা বলতে (মানি) আমরা শুধু ব্যাংককে বোঝাই না। ‘ক্যাশ’ যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে ‘মানি’, তেমনি ব্যাংকের আমানতও ‘মানি’ (মুদ্রা)। দেশে আমানতের প্রবৃদ্ধি শ্লথ। মানুষ ব্যাংকমুখী হচ্ছে না। সেখানে মূল্যস্ফীতির তুলনায় সুদের হার কম। মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৯ শতাংশ। অথচ ব্যাংকে সর্বোচ্চ সুদের হার মাত্র ৬ শতাংশ। অবশ্য ৬ শতাংশের এই ‘ক্যাপ’ বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে যে জরুরি কাজটি তারা করেনি সেটি হচ্ছে ঋণের ওপর সুদের হারের ‘ক্যাপটি’ তোলেনি। ওটা ৯ শতাংশই রয়ে গেছে। এটা ভাবের ঘরে চুরি বলা যায়। ব্যাংক ৭-৮ শতাংশ হারে আমানতে সুদ দিয়ে ৯ শতাংশ হারে ঋণ দিলে পরিস্থিতিটা কী দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। দেখা যাচ্ছে, মুদ্রার ব্যবস্থা না করে ঋণের ব্যবস্থা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এতে ফল যা হওয়ার তাই হবে। এখানে একটি কথা বলা দরকার—মুদ্রানীতি দিয়ে আমাদের মূল্যস্ফীতি দমানো কঠিন। মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করা হলো, পাশাপাশি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো তাহলে ফল কী হবে? মুদ্রানীতি যদি রাজস্বনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে কীভাবে? সরকার পণ্যের দাম বাড়ায় ভর্তুকি কমানোর জন্য। অথচ ভর্তুকির দরকার পড়ত না যদি সরকার রাজস্ব বাড়াতে পারত। রাজস্ব বাড়াতে হলে অতিধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ‘ট্যাক্স’ আরোপ করতে হবে। তাদের ‘ফুকুটে লাভের ওপর, উইন্ডফল গেইনের ওপর কর বসাতে হবে। সেটা কি সরকার করতে প্রস্তুত? খুবই বড় প্রশ্ন।


ড. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন